পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So 8 কৃষিতত্ত্ব উত্তোলন করিয়া লইলে সেই স্থানে যে সকল শিকড় থাকে, তাহা হইতে চারা উৎপন্ন হয়। গাছ উত্তোলন না করিলে গোড়ায় অল্প চার জন্মে। সেই সকল চারা উঠাইয়া রোপণ করিতে হয়। চৈত্র ও বৈশাখ মাসে বৃষ্টি হইলেই চার জন্মে। পুরাতন মানের অগ্রভাগ চারি কি ছয় ইঞ্চি পরিমাণে কৰ্ত্তন করিয়া রোপণ করা যাইতে পারে। যাহার ক্ষেত্রে রোপণ করে না। কেবল বাটীতে দুই চারিটী গাছ জন্মায়, তাহারা মুখ কৰ্ত্তন করিয়াই রোপণ করে। ইহাতে উৎপন্ন মান অতিশয় বড় হয়। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসই রোপণের প্রকৃত সময় । অন্য সময়েও রোপণ করা যাইতে পারে, কেবল মাঘ, ফান্থন ও চৈত্র মাসে চারা পাওয়া যায় না বলিয়া রোপণ করা হয় না ; কিন্তু এ সময়েও পুরাতন মানের মুখ কৰ্ত্তন করিয়া রোপণ করা যাইতে পারে। ইহার ক্ষেত্র অত্যধিক গভীর করিয়া কৰ্ষণ করিতে হয় । লাঙ্গল অপেক্ষা কোদালি দ্বারা মৃত্তিক খনন করিয়া রোপণ করিতে পারিলে ভাল হয়। লাঙ্গল দ্বারা কর্ষণ অথবা কোদালি দ্বারা খনন করিয়া মৃত্তিকা চুৰ্ণবৎ করিয়া লইবে। ঘাস মুথা আদি বাছিয়া মই দিয়া সমতল করিবে। তদনন্তর দুই দুই ফুট অন্তর এক এক শ্রেণি রোপণ করিবে। প্ৰতি শ্রেণিতে দুই দুই ফুট ব্যবধানে এক একটা চারা রোপণ করা কীৰ্ত্তব্য। নিতান্ত ছোট ও বড় সকল প্ৰকার চারাই রোপণ করা যাইতে পারে। ক্ষেত্র নিয়ত পরিষ্কার ও গাছের গোড়ার মৃত্তিক খনন করিয়া আলগা রাখা কৰ্ত্তব্য। ইহার নিমিত্ত ছাইয়ের সারই প্ৰশস্ত। সময়ে সময়ে উক্ত সার দিলে শীঘ্ৰ মান বড় হয়। পোড়া মৃত্তিকাও সারের জন্য ব্যবহার করা যাইতে পারে। গোময়ের সার বা অন্য প্রকার नांद्र तिल भान बद्ध श् किलु भूथ क्षgद्ध । a সাধারণতঃ ইহা প্ৰায় বাটীর নিকটস্থ মৃত্তিকাতেই রোপণ করে। ক্ষেত্রে রোপণ অপেক্ষা এই সকল স্থানেই উত্তম জন্মে। এইরূপে রোপণ করিতে ইচ্ছা হইলে এক হস্ত ব্যাস এক হস্ত গভীর গৰ্ত্ত খনন করিয়া ছাই ও চূর্ণবৎ মৃত্তিকা দ্বারা ঐ গৰ্ত্ত পূরণ করিয়া তাহাতে একটী চারা রোপণ করিবে। এই প্রকারে যােত চারা রোপণ করা প্রয়োজন, তত রোপণ করিবে ।