পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষিতত্ত্ব । SSS বিবেচনায় কিঞ্চিৎ অধিক পরিমাণে জল দেওয়া আবশ্যক । ঘাস আদি নিড়াইয়া ক্ষেত্র পরিষ্কার রাখিবো। চারা ঘন রাখা উচিত নয় । আট ইঞ্চি ব্যবধানে এক একটী চারা থাকিলে ভাল হয়। বীজ জন্মাইবার প্রয়োজন হইলে চারা ছোট থাকিতে এক বার ও কিঞ্চিৎ বড় হইলে এক বার উঠাইয়া স্থানান্তরে রোপণ করিতে হয়। বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ হইতে চারা পূর্ণাবস্থ এবং মূল খাদ্য হয়। অনেক হিন্দু ইহা ভক্ষণ করেন না। bheaghlym এরারুটি । ইহা এদেশীয় নয় । সম্প্রতি এদেশে আবাদ আরম্ভ হইয়াছে, ইহা অতিশয় লাভজনক বস্তু। যত্নপূর্বক ইহার অধিক আবাদ করা উচিত। উত্তম দোয়াস মৃত্তিক ইহার নিমিত্ত প্রশস্ত। যত্ন করিলে খিয়ার এবং পলি মৃত্তিকাতেও জন্মান যাইতে পারে। ক্ষেত্রে পুরাতন সার দেওয়া কৰ্ত্তব্য। বৰ্দ্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে কিঞ্চিৎ অধিক আবাদ হয়। রঙ্গপুরেও কিছু কিছু আবাদ হইতেছে। অনায়াসে সৰ্ব্বত্রই ইহার আবাদ করা যাইতে পারে । ইহার ফলে বীজ হয় না। মূল আদা ও হরিদ্রার মত রোপণ করিতে হয়। বীজের উপযুক্ত মূল সকল যত্ন পূর্বক সংগ্ৰহ করিয়া রোপণ করিবে। বৈশাখ মাস হইতে আষাঢ়ের প্রথমাৰ্দ্ধ পৰ্য্যন্ত রোপণের সময় । ক্ষেত্রের মৃত্তিক উত্তমরূপে খনন অথবা কর্ষণ করিয়া ঢেলা সকল ভাঙ্গিয়া চূৰ্ণবৎ করিবে এবং ঘাস মুখাদি বাছিয়া ক্ষেত্র সমতল করিয়া তাহাতে এক এক ফুট অন্তর এক এক শ্রেণি করিবে। এক এক শ্রেণিতে অৰ্দ্ধ হস্ত ব্যবধানে এক এক খণ্ড মূল রোপণ করিবে। চারা জন্মিলে সময়ে সময়ে গোড়ায় মৃত্তিকা দিয়া মূল ঢাকিয়া দিতে হয় অর্থাৎ আদা হরিদ্রার মত কান্দী বান্ধিয়া দিবে। শীতের সময়ে আর মৃত্তিকা দিতে হয় না। মৃত্তিক রস হীন হইলে ক্ষেত্রে জল সেচন করিতে হইবে । মাঘ ফাস্তুন মাসে মূল সকল উৎপাটন করিয়া ধৌত করতঃ শুস্ক করিয়া রাখিবে।