পাতা:কৃষিদর্পণ - দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষিদর্পণ । • २.१ থাকে, মনুষ্যের চেষ্টায় উদ্ভিদ্রগণের সে রূপ হয় না । কিন্তু স্বভাবতঃ উদ্ভিদ্বদিগের যে জারজ চারা উৎপন্ন হয়, তাহ সহজেই হইয়া থাকে। অনেকনেক পুপস্থিত পুংকেশরের রঙ্গ বায়ু বা প্রজাপতি প্রভৃতি পতঙ্গ দ্বারা অর্নীত হইয়া, তত্তজজাতীয় স্ত্রীকেশরে পতিত হয় এবং তাঁহাতে যে বীজ উৎপন্ন হয়, তাহা হইতে স্বাভাবিক জারজ চারা জন্মিয়া থাকে । কিন্তু ঐ সমস্ত জারজ চার কখন কি রূপে উংপন্ন হয় তাহা আমরা জানিতে পারি না । জারঞ্জ চারার প্রকৃতি মাতা পিতার প্রকৃতি হইতে যে কত ছর পরিবর্তিত হয় তাহ নির্ণয় করা যায় না । , জারজ চারা উৎপাদন করিবার নিয়ম এই যে, যে যে জাতীয় উদ্ভিদে সঙ্গত করিতে হইবে তাহাদিগের উভয়েরই পুঙ্গ, বিকসিত হইবা মাত্র, যাহার স্ত্রীকেশরে রঙ্গ সংলগ্ন করাইতে হইবেক সেই উদ্ভিদের পুংকেশর হইতে রজ বহির্গত হইবার পুৰ্ব্বে পুংকেশর গুলি কাটিয়া । দিবেক, এবং যাহার রঙ্গ উক্ত স্ত্রীকেশরে সংলগ্ন করিতে হইবেক উহার পুংকেশর হইতে রঙ্গ বহির্গত হইবার পুৰ্ব্বে স্ত্রীকেশর গুলি কাটিয়া দিবে। কারণ তাহ ন হইলুে স্ব স্ব পুংকেশরের রঙ্গ স্ত্রীকেশরে সঙ্গত হইয়া স্বাভাবিক বীজ উৎপন্ন হইবে, মুতরাং সেই বীজজাত চারা তঞ্জাতিই প্রাপ্ত হইবার অধিক