পাতা:কৃষিদর্পণ - প্রথম ভাগ.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিক । 创 •মহরণ্য মধ্যে উপস্থিত হইলাম, তথায় দেখিলাম যে শিক্ষদায়িনী প্রকৃতি সতী অনন্তশয্যায় শয়ন পূর্বক নিদ্রাভিভূত রহিয়াছেন। আমি তাহার নিকট দণ্ডায়মান হইয়া করপুটে জিজ্ঞাসা করিলাম হে ভাবুকজন মোহিনি! পরমেশ্বরের এই বিচিত্র রচনার মধ্যে যেরূপ আশ্চৰ্য্য লীলা প্রকাশ পাইয়াছে তাহ সমুদয় দর্শন করিয়া কিছু প্রণিধান করিতে পারলাম না, অতএব আমার প্রতি অমুকম্পান্বিত হইয়া আমার হৃদয়াকাশে জ্ঞানরূপ ভানু উদিত • করুন । এই কথা বরিষ্কার উক্তি করাতে কোন উত্তর পাইলাম না, কেহ আমার বাক্য শ্রবণ করিল না, এবং তথায় এমত কাহাকেও দেখিলাম না যে এই বিষয়ের সদুপদেশ জিজ্ঞাসা করি। পরে অত্যন্ত চিন্তাকুল হুইয়া ইতস্ততঃ ভ্রমণ করত এক গিরির নিকট উপস্থিত হইলাম, তথায় বসিয়া ভাবিয়া দেখিলাম যে শিক্ষা করিবার চারি প্রকার উপায় আছে । প্রথমতঃ, পুস্তক পাঠ, কিন্তু এখানে তাহ! কি প্রকারে সংগ্ৰহ করি ? কারণ র্যাহার নিকটে শিক্ষা করিতে আসিয়াছি তিনিই অচৈতন্য রহিয়াছেন। দ্বিতীয়তঃ, কথোপকপন, কিন্তু এই স্থানে বাক্যালাপ করি এমত কেহ নাই । তৃতীয়তঃ, পরীক্ষা, কিন্তু এখানে পরীক্ষা করি এমত কোন উপায় নাই। পরিশেষে চতুর্থ উপায় অর্থাৎ বহুদৰ্শন দ্বারা যে জ্ঞান উৎপন্ন স্কুইতে পারে তাহাই স্থির কম্প করিয়া চতুর্দিকে নিরীক্ষণ করিলাম, তাহাতে আমার এই আশ্চৰ্য্য জ্ঞান হইল যে একৃতি নিদ্রাবস্থাতে থাকিয়াও স্বয়ং ঈশ্বরে ক্রিয়া পদ্ধতি স্বরূপ হইবাতে সকল কার্যের মূল-মুত্র ধারণ করিয়া