পাতা:কৃষিদর্পণ - প্রথম ভাগ.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চক্ষুকলম । উদ্ভিজ্জের পত্র গাইট হইতে ষে সকল শাখা কলিকা বহির্গত হয়, তাহাদিগকে চক্ষুকলম বলা যায়। ফোন কৌশলক্রমে ঐ চক্ষু তুলিয়। মৃত্তিকায় পুতিলে কিম্বা অপর বৃক্ষের শাখায় বসাইলে তদার চার উৎপাদিত হইতে পারে। চক্ষুকলম, শাখা কলম ও যোড় কলমের ভিন্ন প্রকরণমাত্র। ইহাদের পরস্পর বিশেষ প্রভেদ নাই ৷ শাখা হইতে তুলিতে হইলে চক্ষু শাখার কিঞ্চিৎ কাষ্ঠের সহিত তুলিবে । কারণ শাখার আহার্ষ্য রস তাহার মূল ভাগের কাষ্ঠ মধ্যে যোজিত থাকে। ষদবধি তাহার শিকড় নির্গত না হয়, তদবধি ঐ রস দ্বারা চক্ষু জীৰিত থাকিতে পারে । আলু, আঙ্গুর ইত্যাদি কতকগুলি উদভিজ্জের চক্ষু দ্বারা চার উৎপন্ন হয়। তদ্ব্যতীত অন্যান্য উর্দুভিজ্জের চক্ষুতে ভাদৃশ উত্তেজনাশক্তির অভাব, কিম্বা প্রকাণ্ড মধ্যে ভাদৃশ আহার্য বস্তুর অভাব প্রযুক্ত তাহারণ উক্তরূপে জন্মাইতে পারে না । যদি চক্ষু অপর শাখায় বসাইতে হয়, তবে নিম্ন লিখিত নিয়ম সকল বুদ্ধিপূৰ্ব্বক অবলম্বন করিয়া কাৰ্য্য, করিতে হইবে । * শাখার যে স্থানে চক্ষু বসাইতে হইবে, প্রথমতঃ সেই স্থানের উপরিভাগের ছাল ছুরিকা দ্বারা প্রশস্ত দিকে ‘চিরিয়া তাহার মধ্যস্থল হইতে নিম্ন ভাগে দুই তিন অছল পরিমাণে দীঘে চিরিয়া দিবে। তাহাতে এইরূপ ( ) হইবে । পরে ঐ নিম্ন মুখ চেরার দুই পাশ্বের