পাতা:কৃষ্ণকমল গ্রন্থাবলী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

पिप्द्यांद्यांना ब| ब्रॉरेडेब्रांत्रिी >२७ না শুনিতে তার সে তত্ত্ব, সবে হয়ে একচিত্ত, আত্মঘাত ক’রব গো এখনি। ললিতা । আন গো, বিশাখে ! বিষ খাইয়া মরিব । পারী বিনে এ পরাণ কি কাজে রাখিব ! বিশাখা । আমি যেয়ে বিষহুদে পরাণ ত্যজিব । শ্যাম-বিরহ রাই-বিরহ সহিতে নারিব । চিত্রা। আমি ত এখনি, সখি, অনলে পশিব । এ ছার জীবন আর কি কাজে রাখিব ৷ --(প্ৰাণ আর রা”খাব না রা”খাব না-ওগো ওগো ও বিশাখে।)- চম্পকলতা। আমিত যমুনা জলে ঝাঁপ দিয়ে মরিব । এ পাপ পরাণ রেখে কি আর করিব ৷ -( প্ৰাণ আর রাখব না রাখব না-ওগো ওগো ও চিত্রে)- রঙ্গদেবী। আমিত এখনি যেয়ে ভুজঙ্গ ধরিব। নতুবা পর্বতে চড়ি অঙ্গ ঢেলে দিব৷ ” -( প্ৰাণ আর রা”খাব না রা”খাব না, ওগো চম্পকলতিকে )-- ১ । রাজা কিম্বা। রাণী মরিলে সহচর সহচরীরা এক সময়ে সত্যই এই ভাবে প্ৰাণ ত্যাগ করিতেন, সুতরাং একথাগুলি একবারে কবি-কল্পনা বা অতিরঞ্জিত উক্তি নহে। মহারাজ হর্ষবৰ্দ্ধনের মৃত্যু উপলক্ষে পর্বত হইতে পড়িয়া, জলে ঝাপ দিয়া এবং অন্যান্য প্রকারে বহু লোক প্ৰাণ দিয়াছিল, হৰ্ষ-চরিতে তাহার উল্লেখ আছে। সেই সকল সংস্কার ও প্ৰবাদ দেশময় ছিল, কবিরা তাহাই ব্যবহার করিয়াছেন।