পাতা:কৃষ্ণকমল গ্রন্থাবলী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कदJ-भgabel Rs তাহার রচিত “কিলকিঞ্চিৎভাবের” শ্লোকটি এইরূপ একটি অলঙ্কার। রাধিকাকে প্ৰকাশ্য স্থলে কৃষ্ণ আলিঙ্গন করিয়াছেন,-তাহার চোখে এই অপমানে ঈষৎ রক্তিমা দেখা দিয়াছে, রাগ “fቆaጣfቐfቅe” " অপেক্ষা লজ্জা বেশী হইয়াছে—তাহাতে সেই চোখে এক ফোটা অশ্রু টল টল করিতেছে, ইহা সত্ত্বেও ‘ইনি আমায় কত ভালবাসেন, এই গৌরবে চোখ দুটি উজ্জল হইয়াছে, লাজায় মনের ভাব প্ৰকাশ করিতে পারিতেছেন না, এই জন্য চােখের দৃষ্টি সম্যক বিকশিত হয় নাই, অনুরাগ, ক্ষোভ ও গৌরবের সাতটি লক্ষণ লইয়া অপাঙ্গদৃষ্টি “কিলকিঞ্চিৎভাব” প্ৰকাশ করিতেছে, রূপ গোস্বামী এই দৃষ্টিকে “স্তবাকিনী” বিশেষণে বিশেষিত করিয়া ইহার সম্পূর্ণ মাধুৰ্য আবিষ্কার করিয়াছেন। সেই দৃষ্টি ঠিক কুসুম-কোরকের ন্যায়, ইহা আধফোটা-সলজ ; বায়ু ইহাকে ফুটাইবার জন্য ব্যস্ত, কিন্তু কলিকা লাজায় ও রাগে ঈষৎ রক্তিমাভ হইয়াছে, অথচ সে প্রেমের আহবানকে অগ্ৰাহ করিতে না পারিয়া একটু একটু করিয়া ধরা দিতেছে, এক ফোঁটা শিশির দিয়া সে তার লজ্জা ও দুঃখ জ্ঞাপন করিতেছে, প্রেমের গর্ব তার ঢল ঢল লাবণ্যে প্ৰকাশ পাইতেছে, রাধার চােখের দৃষ্টি ফুটনোন্মুখ কলিকার ন্যায় প্রেমের বিচিত্ৰতা ব্যঞ্জনা করিতেছে। রূপ গোস্বামী অলঙ্কার শাস্ত্রের যে সকল বিধান দিয়াছেন, মহাপ্রভুর চোখের ভঙ্গী হইতে তিনি তাহদের অনেকগুলি জীবন্তভাবে উপলব্ধি করিয়াছিলেন। প্রেমের শত-ঐশ্বৰ্য্য তিনি চোখে মুখে প্ৰকাশ করিয়া শতদল পদ্মের ন্যায় ধরা দিয়াছিলেন-জড়বাদীরা কি করিয়া এই ভাবগুলি বিশ্লেষণ করিবে? তাহদের সে অবসর কোথায়, সে সাধনা কোথায় ? যাহারা ভগবানের নাম করিয়া জীবনে এক ফোটা চােখের জল ফেলায় নাই, সেই টুনটুনি পাখীদের কি সাধ্য