পাতা:কৃষ্ণকমল গ্রন্থাবলী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tiri V) রথী-যাত্রার দিন জন্মগ্রহণ করেন। দুঃখিনী মাতার আজন্ম-তপস্যা, সহিষ্ণুতা ও পতিভক্তির ফলস্বরূপ দেবতারা তঁহাকে এই প্ৰতিভা সম্পন্ন পুত্র-রত্ন আশিস দিয়াছিলেন। মুরলীধর নিজে সংস্কৃতে বিশেষ বুৎপন্ন ছিলেন, এবং কৃষ্ণকমল তঁহার এত আদরের ছিলেন যে, তিনি প্ৰিয়পুত্রটিকে অতি অল্প বয়স হইতেই সঙ্গে সঙ্গে লইয়া ফিরিতেন এবং নিজে যত্ন-পূর্বক সংস্কৃত ব্যাকরণ ও বৈষ্ণব শাস্ত্ৰাদি শিখাইতেন । মুরলীধরের একজন উদার-হৃদয় ভক্ত শিষ্য ছিলেন ; ইহার নাম রামকিশোর কুণ্ডু, ইনি ফরিদপুর জেলার রামদিয়া নামক গ্রামবাসী ছিলেন। মুরলীধর শিশু কৃষ্ণকমলকে লইয়া অনেক সময় ইহার বাড়ীতে থাকিতেন, এবং ইহার ব্যয়ে সপুত্ৰক বৃন্দাবন যাইয়া কিছু দিন বাস করিয়া আসেন। তখন বৃন্দাবনে নৌকাপথে যাইতে চার মাস লাগিতা। ১৮১৯ খৃষ্টাব্দে মুরলীধর বৃন্দাবনে যাইয়া শিঙ্গারবটে একটি বাড়ীভাড়া করিয়া পুত্ৰসহ বাস করিতে থাকেন। মুরলীধর নিজে সংগীতজ্ঞ ছিলেন, অষ্টমবর্ষ বয়সেই কৃষ্ণকমল তাল ও রাগিণীর এরূপ জ্ঞান লাভ করিয়াছিলেন যে, বৃন্দাবন-বাসী পারগিজি নামক এক ধনকুবেরের বাড়ীতে কোন বিশিষ্ট গায়কের তাল-ভঙ্গ নির্দেশ করিয়া সকলের বিস্ময় উৎপাদন করিয়াছিলেন। কৃষ্ণকমলের তরুণমূৰ্ত্তিতে লাবণ্য ঢল ঢলা করিত, পারগজি অপুত্ৰক ছিলেন, তিনি ক্ৰমশঃ এই বালকটির প্রতি এতই অনুরক্ত হইলেন যে, যেদিন কৃষ্ণকমল পিতার সহিত দেশে ফিরিতে উদ্যত হইয়াছিলেন, সেই দিন তঁহার সমস্ত ঐশ্বৰ্য্য কৃষ্ণকমলকে দিয়া তাহার উত্তরাধিকারী করিতে অভিপ্ৰায় ব্যক্ত করিলেন। মুরলীধর যখন পুত্র-পরিত্যাগ করিতে অস্বীকার করিলেন, তখন পারগজি নিঃশব্দে চক্ষুর জল মুছিয়াছিলেন। नेिकांौक, ब्रुन्मांबब बांखा