পাতা:কৃষ্ণকর্ণামৃতম্‌.djvu/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থকারের পূর্ব রত্তান্ত ৷ দক্ষিণাত্যে কৃষ্ণবেণু নদীর পশ্চিমতীর নিবাসী পণ্ডিতপ্রবর কবীজ ঐবিৱমঙ্গল নামে কোন এক ব্রাহ্মণ ছিলেন। তিনি পুৰ্ব্ব অর্থাৎ জন্মান্তরীয় দুৰ্ব্বাসনায় প্রেরিত হইয়। ঐ কৃষ্ণবেণুীর পূৰ্ব্বতীর নিবাসিনী, যিনি সঙ্গীতবিদ্যায় অধিকৃত কিয়রীগণকেও নিন্দ করেন তাদৃশী কোন এক চিন্তামণিনামী বেশু্যায় অতিশয় আসক্ত হয়েন । তিনি কোন সময় বর্ষাকালের অন্ধকরময়ী রজনীতে মেঘের মন্দ মন গর্জনে কদৰ্প পীড়ায় অন্ধের ন্যায় হইয়। পথের বিস্তু সকল গণনা না করত গৃহ হইতে নির্গমন পূৰ্ব্বক সেই নদীতে শবাবলম্বনে অর্থাৎ মৃতদেহকে আশ্রয় করিয়া উত্তীর্ণ হইলেন, পরে চিন্তামণি লেখার গৃহসমীপে গিয়া দেখিলেন দ্বারে কপাট বদ্ধ রহিয়াছে, বিক মঙ্গল শতহ ফুৎকার (উচ্চ ধ্বনি) করিলেও যখন কেহ শুনিল না,তখন তিনি ইতস্তত: ভ্ৰমণ করিতে করিতে দেখিতে পাইলেন ভিত্তি (প্রাচীর )-গৰ্ত্তে অর্ধপ্রবিষ্ট একটা কৃষ্ণসর্প রহিয়াছে,তিনি রজ্জ্ব ভ্রমে ঐ সপের পুচ্ছ অবলম্বনপুৰ্ব্বক ভিত্তি উল্লঙ্ঘন করিয়া গৃহে প্রবেশ করিবেন,অমনি একটা প্রণালিকা (নর্দম) মধ্যে পতিত হওত মূচ্ছিত হইলেন অনস্তর চিন্তামণি বেশু সখীগণের সহিত বিদ্যুদালোকে তাহাকে দেখিতে পাইয়l,*হ কষ্ট’ ! এই বলিয়। তাছাকে আনয়ন করত বিবিধোপচারে সুস্থ অর্থাং চেতন করাইলেন। পশ্চাৎ তাহার কথিত আগমনের বৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়া চিন্তামণি কম্পিত কলেবরে নিৰ্ব্বেদ অর্থাৎ বৈরাগ্যযুক্ত বাক্য প্রয়োগ করত বলিতে লাগিল, “হ কষ্ট ! তুমি সকলশাস্ত্রবিশারদ হইয়াও মূঢ় হইলে ?, তোমা ব্যতিরেকে কোন অন্য ব্যক্তি পরিণামে দুঃখদায়ক রসলেশের নিমিত্ত আপনাকে বিনষ্ট করে ?, হায়! আমাকে ধিক্ থাকুক, আমি মহাপাপীয়সী, কপট ভারদ্বারা পুরুষ সকলকে প্রতারণা করিয়া তাহীদের মনোরূপ ধন সুকল হরণ করিয়াছি । আছে ! এতাদৃশী ভক্তি যদি শ্ৰীকৃষ্ণে উৎপন্ন হইত তাহা হইলে কি না হইত , আমি কল সমস্ত পরিত্যাগ করিয়া শ্ৰীকৃষ্ণের ভজনা করিব।” এই বলিয়। চিন্তামণি সেই রাত্রে সর্থীগণের সহিত বিল্বমঙ্গলকে শুশ্ৰুষা করিতে করিতে ঐরাধীর সহিত শ্ৰীকৃষ্ণের রাসলীলাময় গীত সকল গান করিতে লাগিল । তখন সেই বিদ্বমঙ্গলও তাহার বাক্যে নিৰ্ব্বেদঘুক্ত হইয় আত্মধিক্কার