কৃষ্ণকলি বললে, সব মিছে কথা। জান গা মা, এই দাদু বললে রবি ঠাকুর আমার নাম দিয়েছে কেষ্টকলি।
আমি রামের মাকে জিজ্ঞাসা করলাম, এ মেয়েটি তোমার বউ নাকি?
—হে গা বাবা, গেল অঘ্রানে রেমোর সঙ্গে বে দিয়েছি। রেমোর বয়স দশ আর এর আট।
—এত কম বয়সে বিয়ে দিলে? কাজটা যে বেআইনী হয়েছে।
— আইন ফাইন জানি নে বাবা। মেয়েটা হতভাগী, এর মা পাঁচ বছর রোগে ভুগে গেল সন জষ্টি মাসে ম'ল। বাপটা নক্ষীছাড়া, গাঁজা ভাং খেয়ে গেরুয়া পরে কোথা তারকেশ্বর কোথা ভদ্রেশ্বর টোটো করে ঘুরে বেড়ায়। তাই অনাথা মেয়েটাকে নিজের ঘরে এনে ছেলের সঙ্গে বে দিনু। ওদের ফুলুরির দোকানটাও আমি চালাচ্ছি। আমার তিন মেয়েই তো শ্বশরঘর করছে, একটা বউ না আনলে কি আমার চলে বাবা? তা কেলিন্দী এখেনে এসে আপনাকে জালাতন করছে বুঝি?
—না না, জ্বালাতন করে নি, একটু গল্প করছিল। তুমি আর একে কেলিন্দী ব'লো না রামের মা, এখন থেকে কৃষ্ণকলি ব'লো।
— হা রে কপাল, আমার খড়শাশুড়ীর নাম যে ফেষ্টদাসী! ঠাকুর দেবতার নাম কি মুখে আনবার জো আছে বাবা, শ্বশরবাড়ির গষ্টি সব নাম দখল করে বসে আছে। দাদাশ্বশুর