পাতা:কৃষ্ণকলি ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কৃষ্ণকলি

আজ তাদের এখানে পৌঁছবার কথা। দেখতে হবে তাদের কোনও পাত্তা মেলে কিনা।

 আমরা দুজনে উত্তরপূর্ব দিকে চার-পাঁচ মাইল হেঁটে চললুম। সামনে একটা নিবিড় জঙ্গল, তার ওধারে একটা ছোট পাহাড়। সায়েব বললেন, ওই পাহাড়ের ওপর উঠে দূরবিন দিয়ে চারিদিক দেখতে হবে। আমরা জঙ্গলে ঢুকলুম, সঙ্গে সঙ্গে জন পঞ্চাশ জাপানী আমাদের ঘিরে ফেললে।

 রামতারণবাবু, অধীর হয়ে বললেন, ওহে বকশী, তুমি তো কেবলই বক বক করে চলেছ। শেষকালে হয়তো বলবে যে তুমি নিজেই একটা জাপানী ভূত দেখেছিলে। সেটি চলবে না বাপু, তোমার দেখা ভূত মানব না।

 জটাধর বললেন, আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন, আর একটু, পরেই আপনারা সবাই স্বচক্ষে ভূত দেখবেন। তার পর শুনুন। ক্যাপ্টেন ব্যাবিট বললেন, বকশী, আত্মরক্ষার কোনও উপায় নেই, হাত তুলে সরেণ্ডার কর। আমরা হাত তুলতেই জাপানীরা ছুটে কাছে এল। এমন রোগা হাড্ডি-সার পল্টন কোথাও দেখি নি। তাদের তিন-চার জন আমাদের গাল কাঁধ হাত পা টিপে টিপে দেখতে লাগল, একজন সায়েবের কাঁধে কামড়ে দিলে, আর সবাই তাকে ধমক দিয়ে টেনে নিয়ে গেল।

 ব্যাবিট সায়েব একটু, আধটু, জাপানী ভাষা বুঝতেন। জিজ্ঞাসা করলুম, এদের মতলব কি? সায়েব বললেন, মাই

১৮