পাতা:কৃষ্ণকলি ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কৃষ্ণকলি

আমার সঙ্গে পতিসন্দর্শনে চল। সেবন্তী, মাল্য প্রস্তুত হয়েছে?

 সেবন্তী একটা ঝুড়ি দেখিয়ে বললে, এই যে। অন্য ফুল পাওয়া গেল না, শধু, কদম ফলের মালা।

 কৃষ্ণ বললেন, ওতেই হবে।


ধৌম্যাদি দ্বিজগণে বেষ্টিত হয়ে পঞ্চপাণ্ডব অশ্বত্থতর‍ুমমূলে উপবিষ্ট ছিলেন, তাঁদের মন্ত্রজপ সমাপ্ত হয়েছে। কৃষ্ণ সহিত দ্রৌপদীকে আসতে দেখে সকলে গাত্রোত্থান করলেন।

 পঞ্চপাণ্ডবের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করে দ্রৌপদী কৃতাঞ্জলিপুটে পাষাণপ্রতিমার ন্যায় নিম্পন্দ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন।

 কৃষ্ণ বললেন, পাঞ্চালী, তোমার মৌন ভঙ্গ কর।

 পাঞ্চালী গদ‍্গদ কণ্ঠে বলতে লাগলেন। —দেবসম্ভব পঞ্চ আর্যপুত্র, পতিমহিমায় অভিভূত হয়ে আমি সম্ভাষণ করছি, যা মনে আসছে তাই বলছি, আমার প্রগল্ভতা ক্ষমা কর। পিতৃভবনে স্বয়ংবরসভায় ধনঞ্জয়কে দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম, ইনি লক্ষ্যভেদ করলে আনন্দে বিবশ হয়েছিলাম, এঁকেই পতির‍ূপে পাব ভেবে নিজেকে শতধন্য জ্ঞান করেছিলাম। কিন্তু বিধাতা আর গ‍ুর‍ুজনরা আমার ইচ্ছা-অনিচ্ছার অপেক্ষা রাখেন নি, পঞ্চভ্রাতার সঙ্গেই আমার বিবাহ দিলেন। অন্তর্যামী সাক্ষী, কিছুকাল পরেই আমার সকল ক্ষোভ দর হল, পঞ্চপতি

৭৬