পিশাচ নয়, আমার গর্ভস্থ পুত্রই কথা বলছে। অবোধ শিশুকে তুমি ক্ষমা কর।
— গর্ভস্থ পুত্র না জ্যেষ্ঠতাত! বেরিয়ে আয় হতভাগ্য অকালকুষ্মাণ্ড!
ক্রিয়া তাঁর পুত্রের উদ্দেশে বললেন, বৎস, ক্ষান্ত হও, পূজ্যপাদ পিতার বাক্যের প্রতিবাদ ক’রো না। আগে ভূমিষ্ট হও, তোমার দন্তোদ্গম হক, অন্নপ্রাশন চূড়াকরণ উপনয়ন প্রভৃতি সংস্কার চুকে যাক, তার পর যদি কিছু, জ্ঞাতব্য থাকে তবে পিতাকে সবিনয়ে শ্রদ্ধাসহকারে জিজ্ঞাসা ক’রো। এখন মৌনাবলম্বন কর, গর্ভস্থ অপোগণ্ডের পক্ষে বাচালতা অত্যন্ত অনিষ্টকর।
মহর্ষি ক্রতুর অজাত অপত্য নীরব হল। অধ্যাপনার ব্যাঘাত হওয়ায় ক্রতু উঠে পড়ে সন্ধ্যাবন্দনা করতে গেলেন।
নৈমিষারণ্যের একদিকে গোমতী নদী। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্ল পক্ষে ষষ্ঠী তিথিতে সেখানে দেশ বিদেশ থেকে গর্ভিণী নারীরা সমাগত হন এবং সুপুত্রকামনায় পুণ্যতোয়া গোমতীতে স্নান করে ষণ্মাতৃকা অর্থাৎ ষষ্ঠীদেবীর আরাধনা করেন। এবারে এই শুভতিথিতে পুষ্য নক্ষত্র ও বৃদ্ধিযোগ পড়েছে, সেজন্য অসংখ্য নারী গোমতীতীরে সমবেত হয়েছেন। ক্রতুর পত্নী ক্রিয়া তাঁদের নেত্রীস্থানীয়া, তিনি সকলকে ব্রতপালনের পদ্ধতি বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন।
৯৩