পাতা:কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిJ Y কৃষ্ণকাস্তুের উইল রোহিণী। একটু না দেখে শুনে ত আসতে পারি নে। কি জানি কে কোথা দিয়ে দেখতে পাবে তা তোমার বড় কষ্ট হয়েছে । নিশ। কষ্ট হোক না হোক, মনে মনে ভয় হইতেছিল যে, তুমি বুঝি ভুলিয়া গেলে । রোহিণী। আমি যদি ভুলিবার লোক হইতাম, তা হলে, আমার দশা এমন হইবে কেন ? এক জনকে ভুলিতে না পারিয়া এদেশে আসিয়াছি ; আর আজ তোমাকে না ভূলিতে পারিয়া এখানে আসিয়াছি। . এই কথা বলিতেছিল, এমত সময়ে কে আসিয়া পিছন হইতে রোহিণীর গল টিপিয়া । ধরিল। রোহিণী চমকিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কে রে?”= গম্ভীর স্বরে কে উত্তর করিল, “তোমার যম ? রোহিণী চিনিল ষে গোবিন্দলাল। তখন আসন্ন বিপদ বুঝিয়া চারি দিক অন্ধকার দেখিয়া রোহিণী ভীতিবিকম্পিতস্বরে বলি, “ছাড়! ছাড়! আমি মন্দ অভিপ্রায়ে আসি নাই। আমি যে জন্য আসিয়াছি, এই বস্তুকে না হয় জিজ্ঞাসা কর।” এই বলিয়া রোহিণী যেখানে নিশাক বসিয়াছিল, সেই স্থান অঙ্গুলিনির্দেশ করিয়া দেখাইল । দেখিল, কেহ সেখানে নাই। নিশাকর গোবিন্দলালকে দেখিয়৷ পলকের মধ্যে কোথায় সরিয়া গিয়াছে। রোহিণী বিস্মিত হইয়া বলিল, “কৈ, কেহ কোথাও নাই যে ” গোবিন্দলাল বলিল, “এখানে কেহ নাই। আমার সঙ্গে ঘরে এস।” রোহিণী বিষন্নচিত্তে ধীরে ধীরে গোবিন্দলালের সঙ্গে ঘরে ফিরিয়া গেস । নবম পরিচ্ছেদ গুহে ফিরিয়া আসিয়া গোবিন্দলাল ভৃত্যুবৰ্গকে নিষেধ করিলেন, “কেই উপরে আসিও না।” * * ওস্তাদজী বাসায় গিয়াছিল । গোবিন্দলাল রোহিণীকে লইয়া নিভৃতে শয়নকক্ষে প্রবেশ করিয়া দ্বার রুদ্ধ করিলেন । রোহিণী, সম্মুখে নদীস্রোতোবিকম্পিতা বেতসীর ন্যায় দাড়াইয়া কঁাপিতে লাগিল। গোবিন্দ- , লাল মৃদুস্বরে বলিল, “রোহিণী ” .* রোহিণী বলিল, “কেন !” গো । তোমার সঙ্গে গোটাকত কথা আছে।