পাতা:কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় খণ্ড—দ্বাদশ পরিচ্ছেদ । . So S ভ্র । আমার এই রোগ। কবে মরি, কবে বাচি—আমি সেখানে কার অ শ্রয়ে থাকিব ? যা। বল যদি, না হয়, আমরা কেহ গিয়া থাকিব—তথাপি তোমার সেখানেই থাকা কৰ্ত্তব্য । ভ্রমর ভাবিয়া বলিল, “আচ্ছ, আমি হলুদগীয়ে যাইব । মাকে বলিও, কালই আমাকে পাঠাইয়া দেন। এখন তোমাদের কাহাকে যাইতে হইবে না। কিন্তু আমার বিপদের দিন তোমরা দেখা দিও।” যা। কি বিপদ ভ্রমর ? ভ্রমর কাদিতে কঁাদিতে বলিল, “যদি তিনি আসেন ?” যা । সে আবার বিপদ কি ভ্রমর ? তোমার হারাধন ঘরে যদি আসে, তাহার চেয়ে —আহ্নাদের কথা আর কি আছে ? ' ' ভ্র । আহাদ দিদি ! আহ্বাদের কথা আমার আর কি আছে! ভ্রমর আর কথা কহিল না। তাহার মনের কথা যামিনী কিছুই বুঝিল না। ভ্রমরের মৰ্ম্মান্তিক রোদন, যামিনী কিছুই বুৰিল না। ভ্রমর মানস চক্ষে, ধূমময় চিত্রবং, এ কাণ্ডের শেষ যাহা হইবে, তাহ দেখিতে পাইল। যামিনী কিছুই দেখিতে পাইল না। যামিনী বুঝিল না যে গোবিন্দলাল হত্যাকারী, ভ্রমর তাহা ভুলিতে পারিতেছে না। দ্বাদশ পরিচ্ছেদ পঞ্চম বৎসর ভ্রমর আবার শ্বশুরালয়ে গেল। যদি স্বামী আসে, নিত্য প্রতীক্ষা করিতে লাগিল । কিন্তু স্বামী ত আসিল না। দিন গেল, মাস গেল—স্বামী ত আসিল না। কোন সংবাদও আসিল না। এইরূপে তৃতীয় বৎসরও কাটিয়া গেল। গোবিন্দলাল আসিল না। তার পর চতুর্থ বৎসরও কাটিয়া গেল, গোবিন্দলাল আসিল না। এদিকে ভ্রমরেরও পীড়া বৃদ্ধি হইতে লাগিল। হাপানি কাশি রোগ—নিত্য শরীরক্ষয়—যম অগ্রসর–বুঝি আর ইহজন্মে দেখা श्झेल नः । - তার পর পঞ্চম বৎসর প্রবৃত্ত হইল। পঞ্চম রৎসরে একটা বড় ভারি গোলযোগ উপস্থিত হইল। হরিদ্রাগ্রামে সংবাদ আসিল যে, গোবিন্দলাল ধরা পড়িয়াছে। সংবাদ