Soğ . - কৃষ্ণকাস্তের উইল সাক্ষী । মারের চোটে। ফিচেল খাঁ মারিয়া আমাদের শরীরে আর কিছু রাখে নাই। এই বলিয়া সাক্ষ একটু কালি। ই চারিদিন পূৰ্ব্বে সহােদর ভ্রাতার সঙ্গে अशै লইয়া কাজিয়া করিয়া মারামারি করিয়াছিল, তাহার দাগ ছিল। সাক্ষী অমানমুখে সেই দাগগুলি ফিচেল খাঁর মারপিটের দাগ বলিয়া জজ সাহেবকে দেখাইল। " "; উকীল সরকার অপ্রতিভ হইয়া দ্বিতীয় সাক্ষী ডাকিলেন। দ্বিতীয় সাক্ষীও ঐরূপ বলিল । সে পিঠে রাঙ্গচিত্রের আট দিয়া ঘা করিয়া আসিয়াছিল-হাজার টাকার জন্য সব পারা যায়—তাহা জজ সাহেবকে দেখাইল । , তৃতীয় সাক্ষীও ঐরূপ গুজরাইল। তখন জজ সাহেব প্রমাণাভাব দেখিয়া আসামীে খালাস দিলেন । এবং ফিচেল খার প্রতি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইয়া তাহার আচরণ সম্বন্ধে তদারক করিবার জন্য মাজিষ্ট্রেট সাহেবকে উপদেশ করিলেন । বিচারকালে সাক্ষীদিগের এইরূপ সপক্ষত দেখিয়া গোবিন্দলাল বিস্মিত হইতেছিলেন। পরে যখন ভিড়ের ভিতর মাধবীনাথকে দেখিলেন, তখনই সকল বুঝিতে পারিলেন। খালাস হইয়াও র্তাহাকে আর একবার জেলে যাইতে হইল—সেখানে জেলর পরওয়ান পাইলে তবে ছাড়িবে। তিনি যখন জেলে ফিরিয়া যান, তখন মাধবীনাথ তাহার নিকটস্থ হইয়া কাণে কাণে বলিলেন, “জেল হইতে খালাস পাইয়া, আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিও । আমার বাসা অমুক স্থানে।” কিন্তু গোবিন্দলাল জেল হইতে খালাস পাইয়া, মাধবীনাথের কাছে গেলেন না। কোথায় গেলেন, কেহ জানিল না । মাধবীনাথ চারি পাচ দিন তাহার সন্ধান করিলেন । কোন সন্ধান পাইলেন না । অগত্য শেষে একাই হরিদ্রাগ্রামে প্রত্যাগমন করিলেন । ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ ষষ্ঠ বৎসর মাধবীনাথ আসিয়া ভ্রমরকে সংবাদ দিলেন, গোবিন্দলাল খালাস হইয়াছে কিন্তু বাড়ী আসিল না, কোথায় চলিয়া শেল, সন্ধান পাওয়া গেল না। মাধবীনাথ সরিয়া গেলে ভ্রমর অনেক কাদিল, কিন্তু কি জন্য র্কাদিল তাহা বলিতে পারি না। এ দিকে গোবিন্দলাল খালাস পাইয়াই প্রসাদপুরে গেলেন। গিয়া দেখিলেন, প্রসাদপুরের গৃহে কিছু নাই, কেহ নাই। গিয়া শুনিলেন যে, অট্টালিকায় তাহার যে সকল
পাতা:কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।