নেলায় দাড়াইয় প্রভাতকালে ভ্রমর, ক্ষোবিদ
- **, 2*g . - - দঙ্গালের সঙ্গে কথোপকথন আজি সাত বৎসর ভ্রমর সে জানেলার দিকে যান ৱাই-সে জানেল খোলেন
যামিনী কষ্টে সেই জানেল খুলিয়া বলিল, “কই, এখানে ত ফুলৰাগান নাই-এখানে কেবল খড়বন—আর হুই-একটা মরা মরা গাছ আছে—তাতে ফুল পাতা কিছুই নাই।” । ভ্রমর বলিল, “সাত বৎসর হইল, ওখানে ফুলবাগান ছিল। বে-মেরামতে গিয়াছে । আমি সাত বৎসব দেখি নাই ।” । . . . . অনেকক্ষণ ভ্রমর নীরব হইয়া রহিলেন । তার পর ভ্রমর বলিলেন, “যেখান হইতে পার দিদি, আজ আমায় ফুল আনাইয়া দিতে হইবে । দেখিতেছ না, আজি আবার আমার ফুলশয্যা ?” -- যামিনীর আজ্ঞা পাইয়া দাস দাসী রাশীকৃত ফুল আনিয়া দিল। ভ্রমর বলিল, “ফুল আমার বিছানায় ছড়াইয়া দাও—আজ আমার ফুলশয্যা ।” - যামিনী তাহাই করিল। তখন ভ্রমরের চক্ষু দিয়৷ জলধারা পড়িতে লাগিল। যামিনী বলিল, “কঁাদিতেছ কেন দিদি ?” ভ্রমর বলিল, “দিদি, একটি বড় দুঃখ রহিল। যে দিন তিনি আমায় ত্যাগ করিয়া কাশী যান, সেই দিন যোড়হাতে কঁাদিতে কঁাদিতে দেবতার কাছে ভিক্ষ চাহিয়াছিলাম, এক দিন যেন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। স্পৰ্দ্ধা করিয়া বলিয়াছিলাম, আমি যদি সতী হই, তবে আবার র্তার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হইবে। কই, আর ত দেখা হইল না। আজিকার দিন—মরিবার দিনে, দিদি, যদি একবার দেখিতে পাইতাম! এক দিনে, দিদি, সাত বৎসরের দুঃখ ভূলিতাম !” । - যামিনী বলিল, “দেখিবে ?” ভ্রমর যেন বিদ্যুৎ চমকিয়া উঠিল—বলিল, “কার কথা বলিতেছ ?” - • যামিনী স্থিরভাবে বলিল, “গোবিন্দলালের কথা। তিনি এখানে আছেন—বাবা তোমার পীড়ার সংবাদ তাহাকে দিয়াছিলেন । শুনিয়া তোমাকে একবার দেখিবার জন্য তিনি আসিয়াছেন । আজ পৌঁছিয়াছেন । তোমার অবস্থা দেখিয়া ভয়ে এতক্ষণ তোমাকে বলিতে পারি নাই—তিনিও সাহস করিয়া জাসিতে পারেন নাই।” :