$$8 কৃষ্ণকাস্তের উইল "অকস্মাৎ সেই অন্ধকার, স্তন্ধ বিজন মধ্যে গোবিন্দ্রলালের উন্মাদগ্ৰস্ত खि दिवश । র প্রাপ্ত হইল। তিনি স্পষ্টাক্ষরে রোহিণীর কণ্ঠস্বর শুনিলেন। রোহিণী উচ্চৈঃস্বরে । গোবিন্দলালের তখন আর স্মর করিলেন, “এইখানে—কি ?” যেন শুনিলেন, রোহিণী বলিতেছে— - “এমনি সময়ে ?” গোবিন্দলাল কলে বলিলেন, “এইখানে, এমনি সময়ে কি রোহিণি ?” মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত গোবিন্দলাল শুনিলেন, আবার রোহিণী উত্তর করিল, “এইখানে, এমনি সময়ে, ঐ জলে, “আমি ডুবিয়াছিলাম।” গোবিন্দলাল আপন মানসোস্তৃত এই বাণী শুনিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমি ডুবিব ?” আবার ব্যাধিজনিত উত্তর শুনিতে পাইলেন, “হা, আইস ' ভ্রমর স্বর্গে বসিয়া বলিয়া পাঠাইতেছে, তাহার পুণ্যবলে আমাদিগকে উদ্ধার করিবে ; প্রায়শ্চিত্ত কর। মর।” গোবিন্দলাল চক্ষু বুজিলেন। তাহার শরীর অবসন্ন, বেপমান হইল। তিনি মূচ্ছিত হইয়া সোপানশিলার উপরে পতিত হইলেন। মুন্ধাবস্থায়, মানস চক্ষে দেখিলেন, সহসা রোহিণীমূৰ্ত্তি অন্ধকারে মিলাইয়া গেল। তখন দিগন্ত ক্রমশঃ প্রভাসিত করিয়া জ্যোতিৰ্ম্ময়ী ভ্রমরমূৰ্ত্তি সম্মুখে উদিত হইল । ভ্রমরমূৰ্ত্তি বলিল, “মরিবে কেন ? মরিও না। আমাকে হারাইয়াছ, তাই মরিবে ? আমার অপেক্ষাও প্রিয় কেহ আছেন । বাচিলে তাহণকে পাইবে।” গোবিন্দলাল সে রাত্রে মূচ্ছিত অবস্থায় সেইখানে পড়িয়া রহিলেন পাইয়া তাহার লোকজন তাহাকে তুলিয়া গৃহে লইয়া গেল। র্তাহার দুরবস্থা দেখিয়া মাধবীনাথেরও দয়া হইল। সকলে মিলিয়া তাহার চিকিৎসা করাইলেন। দুই তিন মাসে গোবিন্দলাল প্রকৃতিস্থ হইলেন । সকলেই প্রত্যাশা করিতে লাগিলেন যে, তিনি এক্ষণে গৃহে বাস করবেন। কিন্তু গোবিন্দলাল তাহা করিলেন না। এক রাত্রি তিনি কাহাকে কিছু না বলিয়া কোথায় চলিয়া গেলেন। কেহ আর তাহার কোন সংবাদ পাইল না। । সাত বৎসরের পর, তাহার শ্রাদ্ধ হইল । » ، ४धंन “এইখানে ?” 。。。。。 。 ণ ছিল না যে রোহিণী মরিয়াছে। তিনি জিজ্ঞাসা %, : প্রভাতে সন্ধান
পাতা:কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।