- পাঠভেদ هلا لأ পৃ. ১২, পংক্তি ১৩-১৪, “আমি কি বুড় হইয়া বিহ্বল হইয়াছি।” কথাগুলির পরিবর্তে ছিল, “আমি কি এতই বুড় হইয়াছি।” পু. ১২, পাক্তি ১৭,"রোহিনী তখন কৃষ্ণকাম্ভের" কথাগুলির পূৰ্ব্বে ছিল— । রোহিণীর ৰে অভিপ্রায় তাহ সিদ্ধ হইল। কৃষ্ণকাম্ভের উইল কোথায় আছে, তাহ জানিয় গেল। পৃ. ১৩, ৮ম পংক্তির পূৰ্ব্বে ছিল— হরি তখন মতি গোয়ালিনীর গৃহে সেই বহুবিলাসিনী স্থলীকে কেবল হরিযাত্রপরায়ণ মনে করিয়া তাহার সতীত্বের প্রশংসা করিতেছিলেন। সেও রোহিণীর কৌশল! নহিলে দ্বার খোলা থাকে না। এদিকে - পৃ. ১৩ হইতে পৃ. ১৪ পঞ্চম পরিচ্ছেদটি নিম্নলিখিত মত ছিল— স্বপ্ত হন্দীর প্রথম নিদ্রাভঙ্গে নয়নোৗলনবং পৃথিবীমণ্ডলে প্রভাতোদয় হইতে লাগিল। তখন ব্ৰহ্মানন্দ ঘোষের ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠতলে রোহিণীর সহিত হরলাল কথোপকথন করিড়েছিল—যেন পাতালমাগে, অন্ধকার বিবরমধ্যে সৰ্প দম্পতী গরল উদগীর্ণ করিতেছিল। কৃষ্ণকাস্তের যথার্থ উইল রোহিণীয় হস্তে । হরলাল বলিল, “তার:পর, আমাকে উইলখানি দাও না।” রোহিণী । সে কথা ত বলিয়াছি, উইলথানি আমার নিকট থাকিবে। হরলাল তর্জন গর্জন করিয়া বলিলেন, “তোমার পুরস্কার তোমাকে দিয়াছি। এখন ও উইল আমার ।” রো। আপনারই রহিল, কিন্তু আমার কাছে থাকুক না কেন ? ইহা আর কাহারও হস্তে যাইবে না বা আর কেহ দেখিতে পাইবে না। . হর। তুমি স্ত্রীলোক—কোথায় রাখিবে কাহার হাতে পড়িবে, উভয়েই মারা যাইব । রো। আমি উইল এমত স্থানে রাখিব যে, অন্যের কথা দূরে থাকুক, আমি না দিলে আপনিও সন্ধান পাইবেন না । হর। তোমার ইচ্ছা যে, তুমি ইহার দ্বারা আমাকে হস্তগত রাখ—ন, কি গোবিন্দলালের দ্বারা অর্থ সংগ্রহ কর । রো। গোবিন্দলালের মুখে আগুন ! আমাকে অবিশ্বাস করিবেন না। হর। আর যদি কোন প্রকারে জামি কৰ্ত্তাকে জানাই যে, রোহিণী তাহার ঘরে চুরি করিয়াছে। .রো। আমি তাহ হইলে কৰ্ত্তার নিকট এই উইলথানি ফিরাইয়া দিব। আর বলিব যে, আমি এই উইল ব্যতীত কিছুই চুরি করি নাই। ভাও বড় বাবুর কথায় করিয়াছি। তাহাতে বড় বাবুর উপকার কি অপকার হইবে তাহা আপনিই বিবেচনা করুন। স্মরণ করিয়া দেখুন আসল উইলে আপনার শূন্ত ভাগ ; আমাকে থানায় ঘাইতে হয় আমি মহং সঙ্গে যাইব ।
পাতা:কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।