# আর যা বলুন, সব পারিব। মরিতে ব . রোহিণীর হাতে দিতে গেল। বলিল, “এই হাজার টাকা পুরস্কার আগাম নাও । এ कॉछ তোমার করিতে হইবে।” - ' রোহিণী নোট লইল না। বলিল, “টাকার প্রত্যাশা করি না। কৰ্ত্তার সমস্ত বিষয় দিলেও পারিব না। করিবার হইত ত আপনার কথাতেই করিতাম।” হরলাল দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিল, বলিল, “মনে করিয়াছিলাম, রোহিণি, फूभि श्रांभांब्र হিতৈষী। পর কখনও আপন হয় ? দেখ, আজ যদি আমার গ্রী থাকিত, আমি তোমার খোষামোদ করিতাম না। সেই আমার এ কাজ করিত।” এবার রোহিণী একটু হাসিল। হরলাল জিজ্ঞাসা করিল, “হাসিলে যে ?” রো। আপনার স্ত্রীর নামে সেই বিধবাবিবাহের কথা মনে পড়িল আপনি না কি বিধবা বিবাহ করিবেন ? হর । ইচ্ছা ত আছে—কিন্তু মনের মত বিধবা পাই কই ? রো। তা বিধবাই হোক, সধবাই হৌক—বলি বিধবাই হোক, কুমারীই হৌক—একট। বিবাহ করিয়া সংসারী হলেই ভাল হয়। আমরা আত্মীয়স্বজন সকলেরই তা হলে আহলাদ হয়। হর । দেখ রোহিণি, বিধবাবিবাহ শাস্ত্রসম্মত । রো। তা ত এখন লোকে বলিতেছে । হর। দেখ, তুমিও একটা বিবাহ করিতে পার-কেন করিবে না ? রোহিণী মাথার কাপড় একটু টানিয়া মুখ ফিরাইল । হরলাল বলিতে লাগিল, “দেখ, তোমাদের সঙ্গে আমাদের গ্রাম স্ববাদ মাত্র—সম্পর্কে বাধে না ।” এবার রোহিণী লম্বা করিয়া মাথার কাপড় টানিয়া দিয়া, উনুন গোড়ায় বসিয়া, দালে কাটি দিতে আরম্ভ করিল। দেখিয়া বিষন্ন হইয়। হরলাল ফিরিয়া চলিল । হরলাল দ্বার পর্য্যন্ত গেলে, রোহিণী বলিল, “কাগজখানা না হয় রাখিয়া যান, দেখি, কি করিতে পারি।” - হরলাল আহলাদিত হইয়া জাল উইল ও নোট রোহিণীর নিকটে রাখিল । দেখিয়৷ রোহিণী বলিল, “নোট না । শুধু উইলখানা রাখুন।” হরলাল তখন জাল উইল রাখিয়া নোট লইয়া গেল । o 制 লেন, মরিব । কিন্তু এ বিশ্বাসঘাতকের হরলাল কিছুতেই রোহিণীকে সম্মত করিতে না পারিয়া, সেই হাজার টাকার নোট
পাতা:কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।