কৃষ্ণকাস্তের উইল مهاجم নং ৫-মাগীর ঝাটা দিয়ে বিষ ঝাড়িয়া দিই। নং ৪—কি বলব বেী ঠাকরুণ, বামন হয়ে চাদে হাত । নং ৫—ভিজে বেরালকে চিনতে জোগায় না –গলায় দড়ি ! গলায় দড়ি । ভ্রমর বলিলেন, “তোদের ” - - চাকরাণীরা তখন একবাক্যে বলিতে লাগিল, “আমাদের কি দোষ । আমরা কি করিলাম ! তা জানি গো জানি। যে যেখানে যা করবে, দোষ হবে আমাদের । আমাদের আর উপায় নাই বলিয়া গতর খাটিয়ে খেতে এসেছি।” এই বক্তৃতা সমাপন করিয়া, দুই এক জন চক্ষে অঞ্চল দিয়া কাদিতে আরম্ভ করিল। এক জনের মৃত পুত্রের শোক উছলিয়া উঠিল। ভ্রমর কাতর হইলেন–কিন্তু হাসিও সম্বরণ করিতে পারিলেন না। বলিলেন, “তোদের গলায় দড়ি এই জন্য যে, এখনও তোরা বলিতে পারিলি না যে, কথাটা কি। কি হয়েছে ?” তখন আবার চারি দিক্ হইতে চারি পাচ রকমের গলা ছুটিল। বহু কষ্ট্রে, ভ্রমর, সেই অনন্ত বক্তৃতাপরম্পরা হইতে এই ভাবার্থ সঙ্কলন করিলেন যে, গত রাত্রে কৰ্ত্ত মহাশয়ের শয়নকক্ষে একটা চুরি হইয়াছে। কেহ বলিল, চুরি নহে, ডাকাতি, কেহ বলিল, সিদ, কেহ বলিল, না, কেবল জন চারি পাচ চোর আসিয়া লক্ষ টাকার কোম্পানির কাগজ লইয়৷ গিয়াছে । 锦 ভ্রমর বলিল, “তার পর ? কোন মাগীর নাক কাটিতে চাহিতেছিলি ?” নং ১-রোহিণী ঠাকরুণের—আর কার? 演 নং ২— সেই অাবাগীই ত সৰ্ব্বনাশের গোড় । । নং ৩—সেই নাকি ডাকাতের দল সঙ্গে করিয়া নিয়ে এসেছিল। নং ৪—যেমন কৰ্ম্ম তেমনি ফল । নং ৫—এখন মরুন জেল খেটে ! * ভ্রমর জিজ্ঞাসা করিল, “রোহিণী যে চুরি করিতে আসিয়াছিল, তোরা কেমন করে জানলি ?” “কেন, সে যে ধরা পড়েছে। কাছারির গারদে কয়েদ আছে।” ভ্রমর যাহা শুনিলেন, তাহ গিয়া গোবিন্দলালকে বলিলেন। গোবিন্দলাল ভাবিয়া ঘাড় নাড়িলেন। জ। ঘাড় নাড়িলে ষে ?
পাতা:কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।