. - গাবিন্দলালকে বলিয়াছিলেন, কিন্তু । গোবিন্দলাল রোহিণীর কটাক্ষের ব্যাখ্যায় ব্যক্তিব্যস্ত ছিলেন, কাণে কিছুই শুনেন নাই। । ছুপুত্র আবার জিজ্ঞাসা করিল, “কি হয়েছে, জেঠ মহাশয় ?” শুনিয়া বৃদ্ধ মনে মনে । ধল, “হয়েছে। ছেলেটা বুঝি মাগীর চাদপান মুখখান দেখে ভুলে গেল।” কৃষ্ণকান্ত আবার আনুপুব্বিক গত রাত্রের বৃত্তান্ত গোবিন্দলালকে শুনাইলেন। সমাপন করিয়া বলিলেন, “এ সেই হুরা পাজির কারসাজি। বোধ হইতেছে, এ মাগী তাহার কাছে টাকা খাইয়া, জাল উইল রাখিয়া, আসল উইল চুরি করিবার জন্ত আসিয়াছিল। তার পর ধর পড়িয়া ভয়ে জাল উইল ছিড়িয়া ফেলিয়াছে।” গো। রোহিণী কি বলে ? কৃ। ও আর বলিবে কি ? বলে, তা নয় । - গাবিন্দলাল রোহিণীর দিকে ফিরিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “তা নয় ত তবে কি রোহিণি ?” রোহিণী মুখ না তুলিয়, গদগদ কণ্ঠে বলিল, “আমি আপনাদের হাতে পড়িয়াছি, যাহা করিবার হয় করুন। আমি আর কিছু বলিব না ।” কৃষ্ণকান্ত বলিলেন, “দেখিলে বদ্জাতি ?” গোবিন্দলাল মনে মনে ভাবিলেন, এ পৃথিবীতে সকলেই বদজাত নহে। ইহার ভিতর বদ্বজাতি ছাড়া আর কিছু থাকিতে পারে। প্রকাশ্বে বলিলেন, “ইহার প্রতি কি হুকুম দিয়াছেন ? একে কি থানায় পাঠাইবেন ?” কৃষ্ণকান্ত বলিলেন, “আমার কাছে আবার থানা ফৌজদারি কি ! আমিই থানা, আমিই মেজেক্টর, আমিই জজ। বিশেষ এই ক্ষুদ্র স্ত্রীলোককে জেলে দিয়া আমার কি পৌরুষ বাড়িবে ?” গোবিন্দলাল জিজ্ঞাসা করিলেন, “তবে কি করিবেন ?” কৃ। ইহার মাথা মুড়াইয়া, ঘোল ঢালিয়, কুলার বাতাস দিয়া গ্রামের বাহির করিয়া দিব । আমার এলেকায় আর না আসিতে পারে। - গোবিন্দলাল আবার রোহিণীর দিকে ফিরিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি বল, রোহিণি ?” •রোহিণী বলিল, “ক্ষতি কি ” গোবিন্দলাল বিস্মিত হইলেন। কিঞ্চিং ভাবিয়া কৃষ্ণকান্তকে বলিলেন, “একটা • নিবেদন আছে।” বৃদ্ধ কৃষ্ণকান্ড একবার সকল কথা আন্থগুৰ্ব্বিক ে
পাতা:কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।