నీ কৃষ্ণকাস্তের উইল ক । কি ? so গো । ইহাকে একবার ছাড়িয়া দিন। আমি জামিন হইতেছি—বেলা দশটার সময়ে श्रानिग्रं निव । ইক্ষকান্ত ভাবিলেন, "বুঝি যা ভেবেছি, তাই। বাবাজির কিছু গরজ দেখছি।” প্রকাশ্বে বলিলেন, “কোথায় যাইবে ? কেন ছাড়িব f” গোবিন্দলাল বলিলেন, “আসল কথা কি, জানা নিতান্ত কৰ্ত্তব্য। এত লোকের সাক্ষাতে আসল কথা এ প্রকাশ করিবে না। ইহাকে একবার অন্দরে লইয়া গিয়া জিজ্ঞাসাবাদ করিব।” কৃষ্ণকান্ত ভাবিলেন, “ওর গোষ্ঠীর মুণ্ডু করবে। এ কালের ছেলেপুলে বড় বেহায় হয়ে উঠেছে। রহ ছুচে। আমিও তোর উপর এক চাল চালিব।” এই ভাবিয়া কৃষ্ণকান্ত বলিলেন, “বেশ ত।” বলিয়া কৃষ্ণকান্ত একজন নদীকে বলিলেন, “ও রে! একে সঙ্গে করিয়া, একজন চাকরাণী দিয়া, মেজ বোমার কাছে পাঠিয়ে দে ত, দেখিস, যেন পালায় না।” নগী রোহিণীকে লইয়া গেল। গোবিন্দলাল প্রস্থান করিলেন। কৃষ্ণকান্ত ভাবিলেন, "ইৰ্গা! দুৰ্গা! ছেলেগুলো হলো কি ?” দ্বাদশ পরিচ্ছেদ গোবিন্দলাল অন্তঃপুরে আসিয়া দেখিলেন যে, ভ্রমর, রোহিণীকে লইয়া চুপ করিয়৷ বসিয়া আছে। ভাল কথা বলিবার ইচ্ছ, কিন্তু পাছে এ দায় সম্বন্ধে ভাল কথা বলিলেও রোহিণীর কান্না আসে, এ জন্য তাহাও বলিতে পারিতেছে না। গোবিন্দলাল আসিলেন দেখিয়া ভ্রমর যেন দায় হইতে উদ্ধার পাইল। শীঘ্ৰগতি দূরে গিয়া গোবিন্দলালকে ইঙ্গিত করিয়া ডাকিল। গোবিন্দলাল ভ্রমরের কাছে গেলেন। ভ্রমর গোবিন্দলালকে চুপি চুপি জিজ্ঞাসা করিলেন, “রোহিণী এখানে কেন ?” গোবিন্দলাল বলিলেন, “আমি গোপনে উহাকে কিছু জিজ্ঞাসা করিব । উহার কপালে যা থাকে, হবে।” ভ্র। কি জিজ্ঞাসা করিবে ? গো। উহার মনের কথা। আমাকে উহার কাছে এক রাখিয়া যাইতে যদি তোমার ভয় হয়, তবে না হয় আড়াল হইতে শুনিও। তাহার পর
পাতা:কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।