將 কৃষ্ণকাস্তের উইল তখন ক্ষীরোদা—ওরফে ক্ষীরোদমণি—ওরফে ক্ষীরান্ধিতনয়া-ওরফে শুধুক্ষৗরি আসিয়া দাড়াইল—মোটাসোটা গাট গোট—মল পায়ে—গোট পরা—হাসি চাহনিতে ভর ভর । ভোমরা বলিল, “ক্ষৗরি,—রোহিণী পোড়ারমুখীর কাছে এখনই একবার যাইতে পারবি ?” ক্ষীরি বলিল, “পারব না কেন ? কি বলতে হবে ?” - ভোমরা বলিল, “স্থামার নাম করিয়া বলিয়া আয় যে, তিনি বললেন, छूभि भब्र ” “এই ! যাই।” বিলিয়৷ ক্ষীরোদ ওরফে ক্ষরি—মল বাজাইয়া চলিল। গমনকালে ভোমরা বলিয়া দিল, “কি বলে, আমায় বলিয়া যাস ।” : '.' ; .. "আচ্ছা।” বলিয়া ক্ষীরোদা গেল। অল্পকালমধ্যেই ফিরিয়া আসিয়া বলিল, ভো। সে কি বলিল ? औबि ।। সে বলিল, উপায় বলিয়া দিতে বলিও । • - । ভো। তবে আবার য। বলিয়া আয় যে—বারুণী পুকুরে-সন্ধ্যাবেল কলসী । ক্ষরি আবার গেল। আবার আসিল। ভোমরা জিজ্ঞাসা করিল, “বারুশী পুকুরের কথা বলেছিস্ ?” ক্ষীরি। বলিয়াছি । "ভো । সে কি বলিল ? ক্ষীরি। বলিল যে “আচ্ছ।” গোবিন্দলাল বলিলেন, “ছি ভোমর৷ ” ভোমরা বলিল, “ভাবিও না। সে মরিবে না। যে তোমায় দেখিয়া মজিয়াছে— সে কি মরিতে পারে ?” * . পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ দৈনিক কাৰ্য্য সমস্ত সমাপ্ত করিয়া, প্রাত্যহিক নিয়মানুসারে গোবিন্দলাল দিনান্তে বারুণীর তীরবর্তী পুষ্পৌছানে গিয়া বিচরণ করিতে লাগিলেন। গোবিন্দলালের পুম্পোদ্যানভ্রমণ একটি প্রধান মুখ । সকল বৃক্ষের তলায় দুই চারি বার বেড়াইতেন। কিন্তু আমরা
পাতা:কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।