গোলিলীল ভংলাং পুষ্করিণীর ঘাটে আসিলেন। সৰ্ব্বশেষ সোপানে দাড়াইয়া གྲྭ་རྩའི་གཞི་ག་ཇི་ দেখিতে লাগিলেন। জল কাচতুলা স্বচ্ছ। ঘাটের নীচে জলতলস্থ ভূমি । পৰ্য্যন্ত দেখা যাইতেছে। দেখিলেন, স্বচ্ছ স্ফটিকমণ্ডিত হৈম প্রতিমার স্তায় রোহিণী জলতলে গুইয়া অাছে। অন্ধকার জলতল আলো করিয়াছে ! * $ ষোড়শ পরিচ্ছেদ গোবিন্দলাল তৎক্ষণাৎ জলে নামিয়া ডুব দিয়া, রোহিণীকে উঠাইয়া, সোপান উপরি শায়িত করিলেন। দেখিলেন, রোহিণী জীবিত আছে কি না সন্দেহ ; সে সংজ্ঞাহীন ; নিশ্বাসপ্রশ্বাসরহিত । o উষ্ঠান হইতে গোবিন্দলাল এক জন মালীকে ডাকিলেন । মালীর সাহায্যে রোহিণীকে বহন করিয়া উদ্যানস্থ প্রমোদগ্ৰহে শুশ্রুষা জন্য লইয়া গেলেন। জীবনে হউক, মরণে হউক, রোহিণী শেষ গোবিন্দলালের গৃহে প্রবেশ করিল। ভ্রমর ভিন্ন আর কোন স্ত্রীলোক কখনও সে উদ্যানগৃহে প্রবেশ করে নাই। . বাত্যাবর্ষাবিধৌত চম্পকের মত, সেই মৃত নারীদেহ পালঙ্কে লর্ধমান হইয়া প্রজ্বলিত দীপালোকে শোভা পাইতে লাগিল । বিশালদীর্ঘবিলম্বিত ঘোরকৃষ্ণ কেশরাশি জলে ঋজু —তাহা দিয়া জল ঝরিতেছে, মেঘে যেন জলবৃষ্টি করিতেছে। নয়ন মুদ্রিত ; কিন্তু সেই মুজিত পক্ষ্মের উপরে ক্রযুগ জলে ভিজিয়া আরও অধিক কৃষ্ণশোভায় শোভিত হইয়াছে। আর সেই ললাট-স্থির, বিস্তারিত, লজ্জাভয়বিহীন, কোন অব্যক্ত ভাবৰিশিষ্ট-—গগু এখনও উজ্জল—অধর এখনও মধুময়, বান্ধুলীপুষ্পের লজ্জাস্থল। গোবিন্দলালের চক্ষে জল পড়িল । বলিলেন, “মরি মরি ! কেন তোমায় বিধাতা এত রূপ দিয়া পাঠাইয়াছিলেন, দিয়াছিলেন ত সুখী করিলেন না কেন ? এমন করিয়া তুমি চলিলে কেন ?” এই সুন্দরীর আত্মঘাতের তিনি নিজেই যে মূল—এ কথা মনে করিয়া তাহার বুক ফাটিতে লাগিল । যদি রোহিণীর জীবন থাকে, রোহিণীকে বাচাইতে হইবে। জলমগ্নকে কি প্রকারে বঁাচাইতে হয়, গোবিন্দলাল তাহ জানিতেন। উদরস্থ জল সহজেই বাহির করান যায়। দুই চারি বার রোহিণীকে উঠাইয়া, বসাইয়া, পাশ ফিরাইয়। घूबोइंग्रा, छल छेक्नो4 করাইলেন। কিন্তু তাহাতে নিশ্বাস প্রশ্বাস বহিল না। সেইটি কঠিন কাজ :
পাতা:কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।