পাতা:কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SBB BBBBDDD DD DD DB BBB BBB BBBB BBBB BBB আদর করিয়া বলিলেন, “আর একদিন বলিৰ ভ্ৰমর–আজ নাহে।” f"জঙ্কিনহে কেন ? ! ! ! ! গো। তুমি এখন বালিকা, সে কথা বালিকার শুনিয়া কাজ নাই । . স্ত্র। কাল কি আমি বুড়া হইব ? of গো । কালও বলিব না—দুই বৎসর পরে বলিব। এখন আর জিজ্ঞাসা করিও না, i ভ্রমর } ভ্রমর দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিল। বলিল, “তবে তাই--দুই বৎসর পরেই বলিও— আমার শুনিবার বড় সাধ ছিল—কিন্তু তুমি যদি বলিলে না—তবে আমি শুনিব কি প্রকারে? আমার বড় মন কেমন কেমন করিতেছে।” কেমন একটা বড় ভারি দুঃখ ভোমরার মনের ভিতর অন্ধকার করিয়া উঠিতে লাগিল । যেমন বসন্তের আকাশ-বড় সুন্দর, বড় নীল, বড় উজ্জল,—কোথাও কিছু নাই-অকস্মাৎ একখানা মেঘ উঠিয়া চারিদিক্‌ আঁধার করিয়া ফেলে—ভোমরারবোধ হইল, যেন তার বৃকের ভিতর তেমনি একখানা মেঘ উঠিয়া, সহসা চারি দিক্‌ আঁধার করিয়া ফেলিল। ভ্রমরের চক্ষে জল আসিতে লাগিল। ভ্রমর মনে করিল, আমি অকারণে কাদিতেছি- আমি বড় দুষ্ট হইয়াছি—আমার স্বামী রাগ করবেন। অতএব ভ্রমর কাদিতে কঁাদিতে কাদিতে, বাহির হইয়া গিয়া, কোণে বসিয়া পা ছড়াইয় অন্নদামঙ্গলু পড়িতে বসিল । কি মাথা মুণ্ডু পড়িল তাহা বলিতে পারি না, কিন্তু বুকের ভিতর হইতে সে কালো মেঘখানা কিছুতেই নামিল না। উনবিংশ পরিচ্ছেদ গোবিন্দলাল বাবু জেঠ মহাশয়ের সঙ্গে বৈষয়িক কথোপকথনে প্রবৃত্ত হইলেন। কথোপকথনচ্ছলে কোন জমীদারীর কিরূপ অবস্থা, তাহা সকল জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন। কৃষ্ণকান্ত গোবিন্দলালের বিষয়ানুরাগ দেখিয়া সন্তুষ্ট হইয়া বলিলেন, “তোমরা যদি একটু একটু দেখ শুন, তবে বড় ভাল হয়। দেখ, আমি আর কয় দিন ? তোমরা এখন হইতে সব দেখিয়া শুনিয়া না রাখিলে, আমি মরিলে, কিছু বুঝিতে পারিবে না। দেখ, আমি বুড়া হইয়াছি, আর কোথাও যাইতে পারি না। কিন্তু বিনা তদারকে মহাল সব খারাব श्हेम्न छेठेिल'” - -