... ' প্রথম খণ্ড-উনবিংশ পরিচ্ছেদ se গোবিন্দলাল বললেন, “আপনি পাঠাইলে আমি যাইতে পারি। আমারও ইচ্ছ, SBBB BBBBBB BB BBBBB BBB BBB SSSSSS MM M MM .. BBBBB BBBBB BBBBB S BBBBS BBB BBBB BD DDDDD S BBBBS S বদরখালিতে কিছু গোলমাল উপস্থিত। নায়েব বলিতেছে যে, প্রজার ধর্মঘট করিয়াছে, টাকা দেয় না; প্রজার বলে, আমরা খাজনা দিতেছি, রায়েব উস্থল দেয় না। তোমার যদি ইচ্ছা থাকে, তবে বল, আমি তোমাকে সেখানে পাঠাইবার উদ্যোগ করি।” । গোবিন্দলাল সন্মত হইলেন। তিনি এই জন্তই কৃষ্ণকান্তের কাছে আসিয়াছিলেন। তাহার এই পূর্ণ যৌবন, মনোবৃত্তি সকল উদ্বেলিত সাগরতরঙ্গতুল্য প্রবল, রূপতৃষ্ণ অত্যন্ত । তীব্র। ভ্রমর হইতে সে তৃষ্ণ নিবারিত হয় নাই। নিদাঘের নীল মেঘমালার মত রোহিণীর রূপ, এই চাতকের লোচনপথে উদিত হইল –প্রথম বর্ষার মেঘদর্শনে চঞ্চল ময়ুরীর মত গোবিন্দলালের মন, রোহিণীর রূপ দেখিয়া নাচিয়া উঠিল। গোবিন্দলাল তাহা বুঝিয় মনে মনে শপথ করিয়া, স্থির করিলেন, মরিতে হয় মরিব, কিন্তু তথাপি ভ্রমরের কাছে অবিশ্বাসী বা কৃতঘ্ন হইব না । তিনি মনে মনে স্থির করিলেন যে, বিষয়কৰ্ম্মে মনোভিনিবেশ করিয়া রোহিণীকে ভুলিব-স্থানান্তরে গেলে, নিশ্চিত ভুলিতে পারিব। এইরূপ মনে মনে সঙ্কল্প করিয়া তিনি পিতৃব্যের কাছে গিয়া বিষয়ালোচনা করিতে বসিয়াছিলেন। বন্দরখালির কথা । শুনিয়া, আগ্রহসহকারে তথায় গমনে সম্মত হইলেন । ভ্রমর শুনিল, মেজ বাবু দেহাত যাইবেন । ভ্রমর ধরিল, আমিও যাইব । কাদাকাটি, ইটোহঁাটি পড়িয়া গেল। কিন্তু ভ্রমরের শাশুড়ী কিছুতেই যাইতে দিলেন না । তরণী সজ্জিত করিয়া ভূতাবর্গে পরিবেষ্টিত হইয়া ভ্রমরের মুখচুম্বন করিয়া, গোবিন্দলাল দশ দিনের পথ বন্দরখালি যাত্রা করিলেন । i. ভ্রমর আগে মাটিতে পড়িয়া কাদিল । তার পর উঠিয়া, অন্নদামঙ্গল ছিড়িয়া ফেলিল, খাচার পাখী উড়াইয়া দিল, পুতুল সকল জলে ফেলিয়া দিল, টবের ফুলগাছ সকল কাটিয়া ফেলিল, আহারের অন্ন পাচিকার গায়ে ছড়াইয়া দিল, চাকরাণীর খোপা ধরিয়া ঘুরাইয়৷ ফেলিয়া দিল—ননদের সঙ্গে কোন্দল করিল—এইরূপ নানাপ্রকার দৌরাত্ম্য করিয়া, শয়ন করিল। শুইয়া চাদর মুড়ি দিয়া আবার কাদিতে আরম্ভ করিল। এ দিকে অনুকূল পবনে চালিত হইয়া, গোবিন্দলালের তরণী তরঙ্গিণী-তরঙ্গ বিভিন্ন করিয়া চলিল ।
পাতা:কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।