কৃষ্ণকান্তের উইল یاسb রাজহংসের কলনাদ, সেই যুখী জাতি মল্লিকা মধুমালতী প্রভৃতি কুমুমের cनोब्रङ, সেই গৃহমধ্যে নীলকাচপ্রবিষ্ট রৌদ্রের অপূৰ্ব্ব মাধুরী, সেই রজতফটিকাদিনিৰ্ম্মিত পুষ্পাধারে স্ববিস্তম্ভ কুসুমগুচ্ছের শোভা, সেই গৃহশোভাকারী বাজাতের বিচিত্র উজ্জল বর্ণ আর সেই গায়কের বিশুদ্ধস্বরসপ্তকের ङ्घौ रु,ि७हे जरुरत्नत्व ऋरुि উল্লেখ করিলাম। কেন না, যে যুবক নিবিষ্টমনে যুবতীর চঞ্চল কটাক্ষ দৃষ্টি করিতেছে, তাহার হৃদয়ে ঐ কটাক্ষের মাধুৰ্যেই এই সকলের সম্পূর্ণ ফুর্তি হইতেছে। এই যুবা গোবিন্দলাল—ঐ যুবতী রোহিণী। এই গৃহ গোবিন্দলাল ক্রয় করিয়াছেন। এইখানেই ইহারা স্থায়ী। অকস্মাৎ রোহিণীর তবলা বেস্তুর বলিল। ওস্তাদজীর তল্লুরার তার ছিড়িল, তার গলায় বিষম লাগিল—গীত বন্ধ হইল ; গোবিন্দলালের হাতের নবেল পড়িয়া গেল। সেই সময় সেই প্রমোদগুহের দ্বারে এক জন অপরিচিত যুবা পুরুষ প্রবেশ করিল। আমরা তাহাকে চিনি—সে নিশাকর দাস । . ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ দ্বিতল অট্টালিকার উপর তলে রোহিণীর বাস—তিনি হাপ পরদানসীন। নিম্নতলে ভৃত্যগণ বাস করে। সে বিজনমধ্যে প্রায় কেহই কখনও গোবিন্দলালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে আসিত না—সুতরাং সেখানে বহিৰ্ব্বাটীর প্রয়োজন ছিল না। যদি কালে ভদ্রে কোন দোকানদার বা অপর কেহ আসিত, উপরে বাবুর কাছে সংবাদ যাইত ; বাবু নীচে আসিয়া তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতেন। অতএব বাবুর বসিবার জন্য নীচেও একটি ঘর ছিল । নিম্নতলে দ্বারে আসিয়া দাড়াইয়া নিশাকর দাস কহিলেন, “কে আছ গা এখানে ?” গোবিন্দলালের সোণী রূপে নামে দুই ভূত্য ছিল। মনুষের শব্দে দুই জনেই দ্বারের নিকট আসিয়া নিশাকরকে দেখিয়া বিস্মিত হইল। নিশাকরকে দেখিয়াই বিশেষ ভদ্রলোক বলিয়া বোধ হইল—নিশাকরও বেশভূষা সম্বন্ধে একটু জাক করিয়া গিয়াছেন। সেরূপ লোক কখনও সে চৌকাঠ মাড়ায় নাই—দেখিয়া ভূত্যেরা পরস্পর মুখ চাওয়াচাওই করিতে লাগিল। সোণ জিজ্ঞাসা করিল, “আপনি কাকে খুজেন ?” নিশা । তোমাদেরই। বাবুকে সংবাদ দাও যে, একটি ভদ্রলোক সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছে । ।
পাতা:কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।