পাতা:কেদার রাজা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 's কেদার চুপ করে রইলেন, বোবার শত্ৰু নেই। শরৎ তার সামনে থেকে চলে গেলে তিনি অতিথির সঙ্গে এসে বসে গল্প করতে লাগলেন, কারণ শরৎ দে একটা যা স্থায় কিছু ব্যবস্থা করে ফেলবেই এ বিষয়ে তঁর কোনো সন্দেহ ছিল না। শরৎ রাগী তেজী মেয়ে বটে, কিন্তু সব কাজে ওর ওপর বড় নির্ভর করা চলে অনায়াসে। খুব স্থিরবুদ্ধি {ጃ፲ጃ | শরৎ কোথা থেকে কি করলে তিনি জানেন না, আহারের সময় অতিথির সঙ্গে খেতে বসে দেখলেন, ব্যবস্থা নিতান্ত মন্দ হয় নি। এত বেলায় মাছও যোগাড় করে ফেলেছে মেয়ে } আহারাদির পর কেদার বললেন, আচ্ছা গোপেশ্বরবায়ু, চলুন। একটু বিশ্ৰাম করবেন তারপর তিনি অতিথিকে সঙ্গে নিয়ে অতিথিশালার স্বা-চালা ঘরখানাতে এলেন। এখানে একখানা কঁঠাল কাঠের সেকেলে ভারি তক্তপোষ পাতা আছে অতিথির জন্যে ! পাতার জন্য একখানা পুরানো মাদুর ছাড়া অন্য কিছু নেই। চৌকীখানার ওপর-দেবার সঙ্গতিও নেই ऊँ लू । বৃদ্ধ বললেন, বসুন আপনিও । একটু গল্প; গুজব করি আপনার সঙ্গে । আপনার গান-বাজনা আসে ? সামান্য এক আধটু ! সে কিছুই নয় - কেদার উৎসাহে উঠে পড়লেন চৌকি ছেড়ে । গানবাজনা জানে এ ধরণের লোকের সঙ্গ তার অত্যন্ত প্রিয় । এ রকম লোকের দেখা ३gai उ6ाल देश! ! বললেন, কি বাজনা আসে আপনার ? কিছু না, তবলা বাজাতে পারি এক-আধটু