পাতা:কেরাণী-দর্পণ.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেরাণী-দপণ Sq এখন অনেক গুণপুরুষ, যারা টাকাওয়ালা কেরাণী উমেদার পেলে, প্রথমে দুশো চারশে। টাকা ধার বলে নেয় । আর কেরাণী বাবুও ভারি খুসি, বড় চাকুরি পেলেম, সাহেব হাতে রইল, যা বল্ব তাই করবে। কিন্তু টাক চাইলেই অৰ্দ্ধচন্দ্র, শেষে টাকাও যায় চাকরিও যায়। বিধু। তাই তো ভাই কেরাণীদের এত দুৰ্গতি । মাল। হবে না কেন বল, সকলেই কেরাণী হতে চায়, ত৷ আর কি হবে বল। কারুকারবার কেউ ত আর করবে না । ( বির প্রবেশ । ) ঝি। এ গো দিদি ঠাকুরাণের, তোমরা নিশ্চিন্দি হর্যা এউ গাড়ে বুস্যা বুস্যা কথা বাত্রা কইচ, আর উদিগে ম। ঠাকুরাণ যে ডাকেন বটেন । . হরি। দিদি আমি একটু জল খেয়ে আসি । [ প্রস্থান । মাল। দিদি, আপনি এখন কি বাড়িতে কিছু পড়েন ? বিধু। না ভাই রীতিমত শিক্ষক রেখে আর পড়া শুনা হয়না; বাড়িতে বলেন যে মেয়েমানুষ একটু আদর্টু পড়তে পারলেই হলো, কেবল ছচের কাজটা ভাল করে অভ্যাস রাখা আবশ্যক, মেয়েমানুষকে ত আর চাকরি করতে যেতে হবে না । . . মাল । মেয়েমানুষদের চাকরি করতে যেতে হবেন। বলে কি লেখাপড়া শেখা উচিত নয় ? সেদিন বাবা বোলুছিলেন যে, মেয়েমানুষ ভাল করে লেখাপড়া শিখলে বুদ্ধি