পাতা:কেরাণী-দর্পণ.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেরাণী-দপণ - aפא ( শ্যামাচরণের প্রবেশ । )

  • “শ্যাম । (স্বগত) যা হোগ, বেটা হর্দ পাজি, ছোট লোকের শেষ, নিষ্ঠুর, মায়া মমতা আদবেই নাই ; এমন লোককেও অফিসমাষ্টার করে! যার কোন কাণ্ডজ্ঞান নাই, উপরআলাদের বিবেচনাটাই বা কি ? বেটাকে চিটি দেখালুম, অত করে বলুম, ভ্রুক্ষেপও করলে না, রিজাইন ( Resign ) দিতে চাইলেম, তাও গ্রাহ্য করলে না, ( দীর্ঘ নিশ্বাস ) হয়, হায়, টাকার জন্যে এ লাঞ্ছন এ কৃতদাস অপেক্ষাও অধম হতে হয়েছে, হায় পূৰ্ব্বজন্মে কত মহাপাপ করেছিলেম, তারি শাস্তি এই কেরাণিগিরি। মরণও হয় না যে এযন্ত্রণা এড়াই ; যা হয় হবে, আমি এখুনি তো চলুম এছার চাকরির প্রত্যাশা করায় আর ফল নই, পরিবার আগে না চাকুরি অাগে। যাদের জন্যে এ দাসত্ত্ব স্বীকার করা, বিদেশের কষ্ট সহ্য করা, তাদের যদি দেখতে যেতে না পাব, তবে তার চাকরি ক্যানে । বেটা আপনার জাত ভাইকে অনায়াসেই ছুটি দিতে পারে, কেবল যত প্রভুত্ত্ব কতৃত্ব এ গোরিব বাঙ্গালিদেরি উপরে। হায় হায়, বাঙ্গালিদের এ অবস্থা কি চিরকাল থাকবে । কখন ভাল হবে না । হে ভগা ! আমরা কি তোমার স্বষ্টিতে এতই নিচ, আমরা কি মনুয্যের মধ্যে গণ্য নহি, আমাদের শাস্তি দিবার জুন্যেই কি বাঙ্গালি করেচ, চিরকাল কি আমরা স্লেচ্ছদেলি । ত হয়ে থাকবে, আমাদের অবস্থা কি কখনই ব না ? হে ভগবান!