পাতা:কেরাণী-দর্পণ.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

しペり কেরাণী-দৰ্পণ । ’ থাকবার ধন। হয়, হায়! আমার প্রাণ কি কঠিন! স্ত্রী শ্লোক পুত্ৰ শোক পেয়েও এখন আমি জীবিত আছি। অামার মরণ কি হবে না, আমি মনে মনে যা ভেবেছিলেম, আমার তাই ঘটলো। হায় বাবা, আমাকে মরণ সময় ন৷ জানি কতই খুজেছিল । ( উচ্চৈস্বরে ) বাবা নফর ! তুমি যে আমার জীবন, তোমা বিহনে আমার বেঁচে থাকায় কি ফল, আমি যে তোমাকে ভুলে থাকতে পারবে না, হায়! পুত্ৰ শোক পেয়ে মানুষ কি করে বেঁচে থাকে । হায় মালতি, প্রাণাধিক মালতি! তুমিই সৌভাগ্যবতী, তুমি নফরকে ছেড়ে থাকতে পারলেন, তুমি বাবার সঙ্গে । গেলে । আমাকেও ছেড়ে ঘেও না, আমার তার কে আছে । - - জীবন । ( চক্ষু মুছিয়া ) শ্যাম, সংসারের গতিই এই রূপ। বিধি নিৰ্ব্বন্ধন ঘটনা সকল কেহই বাধা দিয়ে রাখতে পারে না, সময়ে ঘটবেই, তবে মন বোঝে না, তাই আমরা বৃথা চেষ্টা করি । শ্যাম । আমি যে কোন চেষ্টা করতে পারলেম না, ভাল করে চিকিৎসা করাতে পারলেম না, সেবা সুশ্রুষা করতে সময় পেলেম না, তা হোলে যে আমার এত কুঃখ হতে না, হায়, হায়! আমি দেখতে পেলেম না, আমি একেবারে সব হারালেম, হানিফর ! কোথা গেলিরে ধন! হা বিধি ! তোর মনে এই ছিল ? অল্প বয়েসে সন্তান দিয়ে আবার কেড়ে নিলি । হায় হয় । আমি কি করবো ?