পাতা:কৈকেয়ী - রামদয়াল মজুমদার.djvu/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

৫২ কৈকেয়ী। গানে চিন্তু সরস করিয়া সাধনা করাও চিন্তু শুদ্ধির উপায়। আরও পরিস্কার করিয়া বলিতে গেলে বলতে হয় অধ্যাত্মগ্রন্থ পাঠে শােকন্থিা বা সংসার চিন্তার বিস্মৃতি ঘাট। এই শুভক্ষণ ধরিয়া ঐ ব্যক্তির সাধনা করা উচিত। কৈকেয়ী’ পড়িয়া যদি কেই রাম রাম করতে অভ্যাস করে অবশ্যই সে ব্যক্তি নামে রস পাইবে। সৎ শাস্ত্র পড়িয়া জপ বা প্রাণায়াম অভ্যাস করতে করিতে নিশ্চিতই সাধক বুঝিবে ইহাতে চিত্তশুদ্ধি হয়। কেহ কেহ মনে করি, পারেন ডিটেকটিভের গল্প বা বঙ্কিম বাবুর উপন্যাস পদিলেও ত হয়। তাও হয়, তবে যিনি ঈশ্বর চান, যিনি দুঃখ-নিবৃত্তি চান, তিনি যেখানে ভগবানের নাম নাই সেখানে থাকিতে পারেন না। ভগবৎ: লীলা-শূ পুস্তকে 'তাহার রুচি হয় না। তাই সাধক ধৰ্ম্মগ্রন্থে ভগবংলীলা পাঠ করিয়া সাধনার বস্তু লইয়া থাকেন, নিত্য অভ্যাসের বিষয় লইয়া তাহাই সাধনা করেন। | আর এক সন্দেহের মীমাংসা এখানে সন্নিবেশিত হইতেছে। ভগবান বাল্মীকি যে মানুষভাবে আত্মারামের চরিত্র ও কৰ্ম্ম বর্ণনা করিয়াছেন ভগবানের লীলাসমূহকে মানুষের কাৰ্য্য মত দেখাইতেছেন ইহার অর্থ কি ? | আমরা বলি ভগবান্ বাল্মীকি পুনঃ পুনঃ রামচন্দ্রকে নারায়ণ বলেন নাই বটে কিন্তু অনেক স্থানে তাহাকে পূর্ণ।