________________
কৈকেয়ী! ৬। আমি পাপবান হইলাম। হায় পাপদশন! তুমি কালরাত্রির ন্যায় এই বংশের বিনাশ জন্য আসিয়াছ, তুমি রামকে বনবাসে দয়া এবং পিতাকে বিনাশ করিয়া থানার ক্ষত স্থানে ক্ষার নিক্ষেপ করিতেছ, আমাকে দুঃখের উপর দুঃখ দিতেছ। হায় ! পিতা আমার প্রৰালত অঙ্গার আলিঙ্গন করিয়াও জানিতে পারেন নাই। পাপনিয়ে ! এখনও তুমি তােমার অপরাধ বুঝি না। সাধূচরিত্রবিহীনে! তােমার চক্ষে জল কোথায় ? তুমি পতিঘাতিমী, তুমি কোশলাদেবীকে বিধবা করাইয়াছ, পুত্রহারা করিয়াছ - আহা আমি সর্বতোভাবেই নিহত হইলাম।” আজ ভরতের দুঃখের সীমা নাই। ভরত আজ সকলের নিকট অপরাধী। পিতার মৃত্যুর কারণ তিনি, ভ্রাতার নির্বাসনের কারণ তিনি। লােকে ভাবুক বা না ভাবুক ভরতের মনে এই ;থ বৰূণ হইয়া গয়াছে, ভরত সৰ্ব্বদা মনে করিতেছেন বুঝি ‘াহারই পরামশে কৈকেয়ী এইরূপ করিয়াছে। ভরত আর কৈকেয়ীকে দেখিতে পারেন না। ভরত পাগলের মত উচ্খলভাবে কৌশল্যার নিকটে আসিয়াছিন ।। পূৰ্ব্বে বলিয়াছি কৈকেয়ী চরিত্রের সহিত সমস্ত অযােধ্যাকাণ্ড জড়িত। আমরা কৈকয়ীচরিত্র দেখাইতে বহুদূরে আসিয়াছি। ভরত কৌশল্যার নিকটে নিজের নির্দোষত্ব প্রদর্শন জন্য বহু শপথ করিলেন। কৃশা, অতিদীনবদনা