________________
কৈকেয়ী।। | ৭৫ - - - - - . .. ... . - ••• ==== == দুঃখিনী মলিনবসনা রাজরাণী অপূর্ণ লােচনে যােকরে শূন্য লক্ষ্য করিয়া দাড়াইয়া আছেন রাম সেই স্থানে আসিলেন। আসিয়াই প্ৰবদনে চরণ বন্দনা করিলেন। কৈকেয়ী শিহরিয়া উঠিল। দুঃখে, লজ্জায়, অনুতাপে হৃদয় আবার যেন পুড়িয়া গেল। এই রামকে কোন প্রাণে অভিষেকের দিনে রাজপরিচ্ছদ ছাড়াইয়া চীরখণ্ড পরাইয়া বনে পাঠাইয়াছিল। আজ কৈকেয়ী দেখা করিতে আসিয়াও দেখা করেন নাই। রাম যেন বড়ই অভিমান করিয়াছেন . . অভিমানে বলিতেছেন “মা” । আজ কতদিন কৈকেয়ী মাশব্দ শুনে নাই, কৈকেয়ী আত্মহারা হইয়া যাইতেছে —রাম বলিতেছেন “মা, সকলে আমার সহিত দেখা করিল আর তুমি এখানে দাঁড়াইয়া কিরূপে আছ মা? আবার সেই প্রাণ ভরা মা শব্দ! যেন দিগদিগন্থে সে শব্দ প্রতিধ্বনিত হইতে লাগিল। ভরত মা বলে না, কৈকেয়ী যেন যুগ যুগান্তর মা শব্দ শুনেন নাই, দুঃখিনী আজ অ জলে কিছুই দেখিতে পাইতেছেন না। আজ রাম মা বলিতেছে বলিয়া মনে হইতেছে জগত যেন মা বলিয়া তাহার কোলে আসতে চায় । কৈকেয়ী কতবার চেষ্টা করিল একটিবার ভাল করিয়া দেখি। হায়! আজ নয়ন জলের বিরাম নাই। রামের সুমধুর মা নাম শিরায় শিরায় অমৃত সেচন করিল, আর এক দিকে অনুতাপের শত বৃশ্চিকদংশন জাগিয়া উঠিল। কৈকেয়ী অজ্ঞাতসারে