________________
কৈকেয়ী । হস্ত প্রসারণ করিয়াছে হচ্ছ এক বার রামকে কোণে লয়, কোলে লইয়া হৃদয়ের জ্বালা জুড়ায়। অর্যমা কৈকেয়ীর প্রাণের কথা বুঝিলেন। দীনবৎসল সংস:বদনে কৈকে স্ত্রীর ক্রোড়ে আসলেন। আর কৈকেয়ী ভিতরে কি হইয়া গিয়াছে ; রমক কোলে পাইয়া কৈকেয়ীর সৰ্ব্ব দুঃখ দূর হইয়াছে ককেয়ী কথা কহিতে ১৪ করিতেছেন, পারিতেছেন না। কৈকেয়ীর নমুনজরে রানের বক্ষ ভিজিয়া ইতেছে। রাম বহু সান। করিতেছেন এমন সময়ে সীতা আসিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ভরত লক্ষণ ও শত্রুঘ্ন অাসলেন। কৈকেয়া পাগলনার মত গীর হইয়া দাড়াইল। র কর আদরে কেকের চক্ষের জল একবার থামছিল! আবার সীতাদর্শনে কৈকেয়ী বড় স্থির হইয়া দাঁড়াইয়াছেন। বারবারবণের পূর্বে মেঘ যেমন একবার গম্ভীর হইয়া থাকে, কৈকেয়া সেইরূপ একবার সীতাকে দেখিলেন। পরে বড় সংগ্রহে মা জানকীকে ক্রোড়ে লইয়ঃ উচ্চৈঃস্বরে কাদিয়া উঠিলেন। ‘হায়! আমার এই ননীর পুলীকে আমি কোথায় বিসর্জন দিয়াছি। কৈকে আর বলিতে পারেন না। কৈকেয়ীর আর কোন কপটতা নাই। ভরত কৈকেয়ীর ভাব দেখিয়া আর শঙ্কিত হইতেছেন না। কৈকেয়ী এখন সেই স্নেহময়ী। আর সে লােকসংহারিণী মূর্তি নাই। সকলেই মুগ্ধ হইতেছে। সকলেরই নয়ন অপূর্ণ! .