________________
| কৈকেয়ী। ৭১ = -- -- -
= = =
=
= =
=-
এই স্নেহময় বন্ধন তােমার নিৰ্ম্মল জ্ঞান দ্বারা ছেদন কর। আমি তােমার আশ্রিতা। রামচন্দ্র তখন সত্য উদঘাটন করিলেন—“দেবকাৰ্যার্থসিদ্ধার্থমত্র দোষ কত সুব” দেবকার্যসিদ্ধিজন্য আমিই তােমার পূর্ব কৰ্ম্ম অনুসারে তােমা দ্বারা এই কর্ম : করাইয়াছি। ইহাতে তােমার দোষ নাই।। গচ্ছ ত্বং হৃদি মাং নিত্যং ভাবী দিবানিশম্। সর্বত্র বিগ হস্নেহা মদ্ভা মােক্ষ্যসেহচিরাৎ। সৰ্ব্বদা হৃদয়ে আমার ধ্যান করিও-কাহারও উপর মেহ রাখিও না। ইহাতেই অচিরে মুক্তি হইবে। আমরাও বলি তথাস্তু। মানুষের পাপ যাহা কিছু সমস্তই অজ্ঞানকৃত। বিনা জ্ঞানে কখন অজ্ঞান নাশ হইবে না। | জগতে দুঃখ অত্যন্ত সুলভ। দুঃখের ব্যবহার জানিলে শ্রীভগবানকে লাভ করা যায়। আপনাকে আপনি ধরা দিবেন বলিয়া তিনিই দুঃখকে সুলভ করিয়াছেন; বিচিত্র শীল তাঁহার। আমার জন্য যখন অন্য দুঃখ পায় তখন সহজেই আমাদের চৈতন্য হয়। অন্য কেহ আমাকে দুঃখ দেয়না, আমি যে দুঃখ পাই তাহা আমারই জন্য! “সুখ দুঃখ ন কোহপি দাতা, পরাে দদাতীতি কুবুদ্ধিরেষা” সুখ বা দুঃখ অন্য কেহ দিতে পারে না। যদি মনে করা যায়