পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ Σ ο কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য “মেসে” এক এক দিনে হাজার দেড় হাজার টাকা খরচ হইয়া থাকে ! এ জন্য পটসড্যামস্থ সেনানিবাসের সেনা-নায়কগণকে কোন কোন মাসে তাহদের বেতনের দশমাংশও ব্যয় করিতে হইয়াছে। নিম্নপদস্থ কৰ্ম্মচারীগণের বেতন অতি সামান্য ; তাহাদিগকে রাজ-ভোজনের ব্যয়ে এমন বিপন্ন হইতে হইত যে, তাহারা জীবনবিড়ম্বনাপূর্ণ মনে করিত। “প্ৰত্নসিয়া গার্ড’-সৈন্যগণের পদমৰ্য্যাদা জৰ্ম্মান সেনামণ্ডলীর মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক। তঁহাদের অনেকেই অতি উচ্চপদস্থ রাজকৰ্ম্মচারীগণের বংশধর, অনেকেরই নাম সুদীর্ঘ উপাধি দ্বারা সমলস্কৃত ; কিন্তু তঁহাদের বেতন তঁহাদের পদমৰ্য্যাদা বা কৌলীন্য-গৌরবের অনুরূপ নহে । সুতরাং তঁাহারা তাহাদের সৈনিক-ব্ৰতধারী বংশধরগণকে যথাযোগ্য সাহায্য-দানে অসমর্থ। কৈসারের সু-নজরে পড়িতে হইলে পোষাকের আড়ম্বর অপরিহাৰ্য্য ; সুতরাং কৈসারের অনেক সেনা“নায়ককে দরজীর বিল চুকাইতেই “দেউলিয়া’ হইতে হয়! আবার দরজীীরাও এই সকল কৰ্ম্মচারীর পরিচ্ছদ প্ৰস্তুত করিতে অত্যন্ত অধিক মূল্য লইয়া থাকে।—এই পোষাকের ব্যয়-ভার বহন করা অনেকের পক্ষেই কষ্টসাধ্য। কৈসারের কোনও পরলোকগত সচিবের বিধবা-পত্নী তাহার পুত্ৰকে কিছু কিছু বাৰ্ষিক সাহায্য করিতেন ; পুত্রটি সমর বিভাগে চাৰুরী করিত। বিধবার আর্থিক অবস্থা তেমন সচ্ছল ছিল না ; তিনি গবমেণ্টের নিকট বার্ষিক পাচহাজার টাকা বৃত্তি পাইতেন। তঁহাকে বৃহৎ পরিবার প্রতিপালন করিতে হইত ; এবং কয়েকটি কন্যার বিবাহ দিতেও বাকি ছিল । এই বিধবা এক দিন প্ৰাসাদে উপস্থিত হইয়া। সাম্রাজ্ঞীর কোনও সহচরীকে জ্ঞাপন कार्दैन, তিনি একবার মহিষীর সেহিত সাক্ষাৎ করিতে চাহেন। সাম্রাজ্ঞীর সহচরী সাক্ষাতের কারণ