পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায় S86 DBDBBB DBBBSDB DDDSL DDDD DDD DD DBDDBB BDDBB কাহাকেও দেখিতে পান, তাহা হইলেই সে বেচারার সর্বনাশ! তিনি নিদ্রিত আছেন, তাহার কোনও ভৃত্য হয় ত নিঃশব্দে সেই কক্ষের জিনিসপত্ৰ ঝাড়িতেছে,-এমন সময় কৈসারকে নিদ্রাভঙ্গে গাত্ৰোখান করিতে দেখিলেই সে সেই কক্ষ হইতে উৰ্দ্ধশ্বাসে পলায়ন করিয়া প্ৰাণরক্ষণ করে । একদিন সুজেটি নামী একটি পরিচারিকা কি একটা উপলক্ষ্যে সম্রাটের শয়ন-কক্ষে প্ৰবেশ করিতে গিয়াই দেখিতে পায়, সমাটের নিদ্ৰাভঙ্গ হইয়াছে !!--তখন সে পলায়ন করিবার সুযোগ না পাইয়া একটা খোলা চুল্লির ( ষ্টেভ) ভিতর লুকাইল ! প্ৰায় এক ঘণ্টা পরে সম্রাট স্থানান্তরে গমন করিলে, সে ধীরে ধীরে চুল্লির ভিতর হইতে বাহির হইয়া আসিল। তখন দেখা গেল, ষ্টোভের কালিতে তাহার পোষাকটি নষ্ট হইয়া গিয়াছে ! প্ৰসিয়া রাজ্যে নিয়ম আছে, কোনও গৃহস্বামী দাস-দাসীর কোনও ব্যবহারে বাধ্য হইয়া যদি তাহাদিগকে অত্যন্ত অধিক প্ৰহার করে, তাহা হইলে আইনানুসারে সেই মনিবের দণ্ড হইবে না। প্ৰজা সভায় এই আইন রহিত করিবার জন্য একাধিক বার চেষ্টা হইয়াছিল ; কিন্তু গবমেণ্টের আপত্তিতেই সেই আইন রদ হয় নাই। গবমেণ্টের বিশ্বাস, এই আইন রদ করিলে দাস-দাসীরা প্রশ্ৰয় পাইয়া মনিবের মাথায় উঠিবে ; —তাহার ফলে রাজ্যে অরাজকতার স্রোত বহিবে ! প্রসিয়ার রাজ-পরিবারে অলস ভৃত্যগণকে চট্টপটে কিরিবার জন্য পূৰ্ব্ব কালে বড় একটা অদ্ভুত ব্যবস্থা ছিল । রাজার কাছে লবণপুর্ণ পিস্তল থাকিত ; রাজা কোনও ভূত্যের অলসতার পরিচয় পাইলেই তাহার উপর সেই লবণের “গুলি” ছুড়িতেন ! কিন্তু ইহাতে সময়ে সময়ে অনর্থও ঘটত। একবার সম্রাট প্ৰথম ফ্রেডরিক উইলিয়াম এই গুলিতে একজন ভূত্যের পা ভাঙ্গিয়া দিয়াছিলেন ; আর একজনের উভয় চক্ষুই নষ্ট করিয়া So