পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য বন্দরে অবস্থিতি করিতেছিল,-এ কথা অনেকেই জানিতেন। কৈসরনন্দন শ্ৰীমান এডেলবার্ট এই সময় নৌ-বিভাগের লেফটেনাণ্ট-পদে নিযুক্ত ছিলেন। র্তাহার বয়স তখন নিতান্ত অল্প। এই পদে অবস্থানপূর্বক তিনি উপযুক্ত শিক্ষকের অধীনে নীে-বিভাগের বিভিন্ন শাখার কাৰ্য্যে বুৎপত্তি লাভ করিতেছিলেন। সম্রাট-পুত্র এডেলবার্ট শুনিলেন, তঁাহার পিতৃব্যকে একখানি কদৰ্য্য জাহাজে ইংলণ্ডে প্রেরণ করা হইতেছে ; তিনি কথাপ্রসঙ্গে পিতাকে বলিলেন, “হেনরী কাকা দিদিমা ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে দেখা করিতে যাইতেছেন ; আপনি তঁহাকে আপনার ‘হোহেনজোলাৰ্ণ” জাহাজখানা দেন না কেন, বাবা ?” কৈসার যখন ভোজনে বসিয়াছিলেন,-সেই সময় রাজপুত্র এই প্রসঙ্গের উত্থাপন করেন। ভোজনকালে সম্রাট বেশ প্ৰফুল্ল থাকিতেন ; এবং অন্যান্য ভোক্তাদের সহিত হাসিমুখে গল্প করিতেন। কিন্তু পুত্রের মুখ হইতে এই কথা নিৰ্গত হইবামাত্ৰ কৈসারের মুখ হঠাৎ নিদাঘাপরাহের মেঘের মত অন্ধকার হইয়া উঠিল। বালক জননীর নিকট বসিয়াছিলেন, সম্রাট ভ্ৰকুটী-কুটিল নেত্ৰে ভঁাহার মুখের দিকে চাহিয়া তঁহাকে সরিয়া দাড়াইতে বলিলেন । পিতার ভাবভঙ্গী দেখিয়া রাজপুত্রের মুখ শুকাইয়া গেল! তিনি সভয়ে সম্রাটের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইলে— কৈসার গম্ভীর স্বরে বলিলেন,-“হোহেনজোলাৰ্ণ জাহাজ কোন সুত্রে সাধারণ রণতরি-শ্রেণীর অন্তভুক্ত হইল ?” বালক লেফটেনাণ্ট বলিলেন, “সম্রাটের আদেশানুসারে হোহেনজোলাৰ্ণ জাহাজখানি কেবল তাঁহারই ব্যবহারের জন্য রাখা হইয়াছে।” কৈসার বলিলেন, “তবে তুমি সে জাহাজের কথা কেন বলিলে ? দেখ লেফটেনাণ্ট, তোমার বুঝা উচিত, কৈসারের ব্যবহাৰ্য্য দ্রব্যে র্তাহার কোনও প্ৰজার হস্তক্ষেপণের অধিকার নাই।”