পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায় Nò Rid করিয়া প্ৰায় কেহই দৈনিক দুই টাকার অধিক বেতন পায় না । সমস্ত দিন তাহাদিগকে এক পেয়ালা কাফি বা এক পিরিচি “সুপা’ প্ৰদানেরও কোন ব্যবস্থা নাই ; অথচ কাজ করিতে করিতে তাহারা যে প্রাসাদের বাহিরে গিয়া কোথাও দু’টি খাইয়া আসিবে, তাহারও অবকাশ পায় না । কৈসারের প্রাসাদের সরঞ্জমী ব্যয় এত অধিক যে, সহসা তাহা বিশ্বাস করা কঠিন। প্রাসাদের জাকজমক বজায় রাখিতেই বৎসরে দশ কোটী টাকা খরচ হয় ! প্ৰাসাদে দেড় হাজার লোক নানা কাৰ্য্যে নিযুক্ত আছে ; তন্মধ্যে পাঁচ শত লোকের খোরাক-পোষাক পৰ্য্যন্ত কৈসারকে দিতে হয়। অনেক কৰ্ম্মচারীর বেতন অত্যন্ত অধিক । প্ৰধান প্ৰধান কৰ্ম্মচারীগণকে পরিচ্ছদাদি প্ৰাসাদ হইতে দেওয়া হয় না। সত্য, কিন্তু পরিচ্ছদাদির জন্য তঁহাদিগকে যে ভাতা দেওয়া হয়-তাহার পরিমাণ অল্প নহে। প্ৰাসাদে র্যাহাদের ভোজনের ব্যবস্থা আছে, তাহার রাজকাৰ্য্যে স্থানান্তরে গমন করিলেও তঁহাদিগকে আহারের ব্যয় প্ৰদান করা হয়।--কৰ্ম্মচারীরা স্থানান্তরে গমন করিলে মাইল হিসাবে পাথেয় ও বাসা ভাড়া প্ৰাপ্ত হন । কৈসারের প্রাসাদে নিত্য ব্যবহাৰ্য্য যে সকল তৈজসপত্র আছে, তাহার অধিকাংশ কাচ-নিৰ্ম্মিত । এই সকল তৈজসপত্রের কোনটি যদি BB SBDDD DDDDYTDBDB DBB BBD DBDBBDD BBDB DB DB নিকট লইয়া যাইতে হয় ; হাউজ মাষ্টার তাহা হাউজ মাসালকে দেখাইতে যান ; “হাউজ মাস ল’ তাহা কোর্ট মাসালের নিকট উপস্থিত করেন ; কোর্ট মাসােল তাহা খাতাঞ্জী মহাশয়ের সম্মুখে স্থাপন করেন। খাতাঞ্জী মহাশয় তখন একটি নূতন পাত্ৰ প্ৰদানের আদেশ করেন ; কিন্তু আদেশ মাত্রেই তাহ সরবরাহ করা :হয় না । সেই আদেশ-পত্রে প্রথমে কোর্ট মাসাল, ও তাহার পর হাউজ মসলিকে স্বাক্ষর করিতে হয়। ର