পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

सष्ठे अक्षाघ्र YV)y কারখানায় পত্র লিখিয়া জানিবেন,-ভাণ্ডারের অধ্যক্ষ উহার যে মূল্য নিৰ্দ্ধারণ করিয়াছেন—তাহাই উহার প্রকৃত মূল্য কি না। তখন বিভিন্ন বিভাগের কর্তৃপক্ষের হাত ঘুরিয়া টাকা বাহির হইলে আট দশ দিন পরে জিনিসটি পাওয়া যাইবে।” মহিষী বলিলেন, “কিন্তু আজই আমি উহা চাই -সরকারকে উহা অবিলম্বে আনাইয়া দিতে বল ।” মহিষীর এই আদেশ সত্ত্বেও জিনিসটি তাহার হস্তগত হইতে দশ দিন সময় লাগিল ! এই কয় দিনের মধ্যে কত বার তাগিদ গেল-তাহার সংখ্যা নাই ; কিন্তু কোনও তাগিদেই ফল হইল না। অথচ এই ‘হোলডার’ দুইটির মূল্য বার টাকার অধিক নহে! স্বৰ্গীয় সম্রাট সপ্তম এডোয়ার্ড যখন যুবরাজ ছিলেন, সেই সময় - একবার তিনি বার্লিনে বেড়াইতে আসিয়াছিলেন। সে ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দের মার্চ মাসের কথা । যুবরাজের সঙ্গে যে সকল ভৃত্য আসিয়াছিল, তাহারা জৰ্ম্মান সম্রাটু-প্রাসাদে না কি পেট ভরিয়া খাইতে পাইত না ! তাহারা লজ্জা ত্যাগ করিয়া একদিন তাহদের পছন্দমত খাদ্য দ্রব্য চাহিলে প্ৰাসাদের প্রধান কৰ্ম্মচারী হের ভন লাইবেনে রাগ করিয়া বলিয়াছিলেন, “তোমাদের বেয়াদবির কথা যুবরাজের গোচর করিব।” এই কথা শুনিয়া যুবরাজের ভূত্যেরা বলিয়াছিল, “সে ত তাল কথা, আমরা ও তাঁহাই চাই। তিনি এ কথা শুনিলে হোটেলে আমাদের আহারের বন্দোবস্ত করিয়া দিবেন। আমরা আধ পেট খাইয়া আছি, এ কথা শুনিলে তিনি নিশ্চিন্ত থাকিবার পাত্র নহেন ৷” কিন্তু কথাটা যুবরাজেৱ কানে উঠিল না। প্রাসাদে ভৃত্যগণের পান ভোজনেরও কোন সুব্যবস্থা হইল না। যতগুলি ভৃত্য ছিল, তাহাদের প্রত্যেকে বোধ হয় এক একটি ‘ভাট’ শোষণ করিতে পারিত ;