পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায় S8S ছিলেন, “সম্রাট আমার পদে চুম্বন করিলেও পারিতেন !” অসাক্ষাতে লোকে রাজার মাকেও “ডাইনী” বলে।-সে সকল কথা সাধারণতঃ আদালতে উঠে না। কিন্তু জমীদার-পত্নীর এই কথা আদালতে উঠিয়াছিল ; এবং এ জন্য তঁহাকে নয় মাসের জন্য শ্ৰী-ঘরে বাস করিতে হইয়াছিল! ব্রিসলুর একজন সম্পাদক। তঁহার সম্পাদিত পত্রিকায় ‘রাজবাড়ীর সংবাদ’-স্তম্ভে লিখিয়াছিলেন, “গত কল্য জৰ্ম্মান সম্রাট ও পঞ্চাশ। জন প্ৰধান প্ৰধান রাজপুরুষ দুই ঘণ্টা ধরিয়া একটা ধাড়ী শুয়োরের পশ্চাতে ছুটয়াছিলেন।”—এই রসিকতার জন্য উক্ত সম্পাদক-প্রবারকে নয় মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইতে হয়। ১৮৯৩ খৃষ্টাব্দে ষ্টেটিনের ফ্রলিন হাডউইগ জেডিনামী কোনও সঙ্গীতশিক্ষয়িত্রী সম্রাটের রচিত song to Aegirাকে ‘আবৰ্জনা” বলিয়া মত প্ৰকাশ করিয়াছিলেন ; এই অভিযোগে ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দে তীহাকে তিন মাসের জন্য কারারুদ্ধ করা হয় । এই যুবতী দণ্ডাদেশ শুনিয়া অত্যন্ত ভীত হইলেন, এবং মহিষীর শরণাপন্ন হইয়া মার্জনা ভিক্ষা করিলেন ; কিন্তু মহিষী সম্রাটের নিকট মার্জনা প্রার্থনা করিতে সাহস পাইলেন না। তিনি প্ৰজাসভার সভাপতি হের ভন লেভেট্টজোকে এজন্য অনুরোধ করিলেন। হের ভন লেভেট্টজো সম্রাটের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া এই প্ৰসঙ্গ উত্থাপিত করিবামাত্র সম্রাট ক্ৰোধে অগ্নিশৰ্ম্ম হইয়া বলিলেন, “তুমি বোধ। হয় মনে কর রাজভক্তিহীনতার দমনের জন্য যে আইন বিধিবদ্ধ আছে, তাহ অত্যন্ত কঠোর। তুমি যে আমাকে অবাক করিয়া দিলে! এই অপরাধে প্ৰত্যহ এত লোক দণ্ডিত হইতেছে ; ইহাতে কি এই প্ৰতিপন্ন হয় না যে, অপরাধীগণকে যে শাস্তি দেওয়া হয়,-তাহার পরিমাণ অত্যন্ত অল্প ? যদি এই প্ৰকার লঘু দণ্ডের ব্যবস্থা না থাকিত,