পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बळे यक्षांश S80 করিতে হইবে ; কিন্তু হঠাৎ নিদ্রাভঙ্গে যদি তিনি তাহার শয়ন-কক্ষে কাহাকেও দেখিতে পান, তাহা হইলেই সে বেচারার সর্বনাশ! তিনি নিদ্রিত আছেন, তাহার কোনও ভৃত্য হয় ত নিঃশব্দে সেই কক্ষের জিনিসপত্ৰ ঝাড়িতেছে,-এমন সময় কৈসারকে নিদ্রাভঙ্গে গাত্ৰোখান করিতে দেখিলেই সে সেই কক্ষ হইতে উৰ্দ্ধশ্বাসে পলায়ন করিয়া প্রাণরক্ষা করে ! একদিন সুজেটি নামী একটি পরিচারিকা কি একটা উপলক্ষ্যে সম্রাটের শয়ন-কক্ষে প্ৰবেশ করিতে গিয়াই দেখিতে পায়, সম্রাটের নিদ্ৰাভঙ্গ হইয়াছে ।--তখন সে পলায়ন করিবার সুযোগ না পাইয়া একটা খোলা চুল্লির ( ষ্টোভ ) ভিতর লুকাইল ! প্ৰায় এক ঘণ্টা পরে সম্রাট স্থানান্তরে গমন করিলে, সে ধীরে ধীরে চুল্লির ভিতর হইতে বাহির হইয়া আসিল। তখন দেখা গেল, ষ্টোভের কালিতে তাহার পোষাকটি নষ্ট হইয়া গিয়াছে ! প্ৰসিয়া রাজ্যে নিয়ম আছে, কোনও গৃহস্বামী দাস-দাসীর কোনও ব্যবহারে বাধ্য হইয়া যদি তাহাদিগকে অত্যন্ত অধিক প্ৰহার করে, তাহা হইলে আইনানুসারে সেই মনিবের দণ্ড হইবে না। প্ৰজা সভায় এই আইন রহিত করিবার জন্য একাধিক বার চেষ্টা হইয়াছিল ; কিন্তু গবমেণ্টের আপত্তিতেই সেই আইন রদ হয় নাই। গবমেণ্টের বিশ্বাস, এই আইন রদ করিলে দাস-দাসীরা প্ৰশ্ৰয় পাইয়া মনিবের মাথায় উঠবে ; --তাহার ফলে রাজ্যে অরাজকতার স্রোত বহিবে ! প্রসিয়ার রাজ-পরিবারে অলস তৃত্যগণকে চটপটে করিবার জন্য পূৰ্ব্ব কালে বড় একটা অদ্ভুত ব্যবস্থা ছিল। রাজার কাছে লবণপূর্ণ পিস্তল থাকিত ; রাজা কোনও ভূত্যের অলসতার পরিচয় পাইলেই তাহার উপর সেই লবণের “গুলি” ছড়িতেন ! কিন্তু ইহাতে সময়ে সময়ে অনর্থও ঘটিত। একবার সম্রাট প্রথম ফ্রেডরিক উইলিয়াম। এই গুলিতে একজন ভূত্যের পা ভাঙ্গিয়া দিয়াছিলেন ; আর একজনের উভয় চক্ষুই নষ্ট করিয়া o