পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায়। >\b@ পঞ্চাশ হাজার জানোয়ার শিকার করিয়াছি। আমার অরণ্যসমূহের অফুরন্ত ভাণ্ডারের কথা চিন্তা করিলে ফ্রেডারিক-দি-গ্রেটের মত আমারও বলিতে ইচ্ছা হয়, “এই জানোয়ারগুলার কি শেষ নাই ? আমি ভবিষ্যতে আমার শিকারের পরিমাণ দুই তিন গুণ বদ্ধিত করিব। রাজার যদি যুদ্ধ করিবার সুযোগ না থাকে, তাহা হইলে অরণ্যে গিয়া তাহার প্রাণীহত্যার অভ্যাস রাখা কৰ্ত্তব্য। ইহাতে সমর-প্রবৃত্তি সজাগ থাকে।” কৈসারকে অপরাধী প্ৰজার প্রাণ-দণ্ডাজ্ঞার পরোয়ানায় স্বাক্ষর করিতে হয় । তিনি কোনও অপরাধীর প্রাণদণ্ডের আদেশ রহিত করিয়া কখনও দয়ার পরিচয় দিয়াছেন কি না—জানা যায় না । তবে তিনি প্ৰত্যেক পরোয়ানায় স্বাক্ষর করিবার সময় লেখেন, “সম্রাট এই মামলার বিচারে হস্তক্ষেপণ করিতে অসন্মত । তরবারির আঘাতে অপরাধীর মস্তক দেতচু্যত হউক।”—তবে সামরিক কৰ্ম্মচারীগণ অধিকার-বহির্ভূত কোনও অন্যায়াচরণ করিলে কৈসার তঁহাদের সে অপরাধ অনেক সময় মার্জন করেন। কৈসার যখন “উইলেহাম’ নাটকের রচনায় ব্যস্ত ছিলেন, সেই সময় বিচারপতিরা অনেক অপরাধীর প্রতি দয়া প্ৰদৰ্শনের জন্য সম্রাটকে অনুরোধ করিয়া, নথি-পত্ৰাদি র্তাহার দরবারে পেশ করিতেন। ইহাতে কৈসার বিরক্ত হইয়া হের ভন লুকানসকে বলিয়াছিলেন, “অপরাধীদের অপরাধ বিচার করিয়া দেখিবার আমার সময় নাই। যাহারা আত্মসম্মান রক্ষা করিতে গিয়া অভিযুক্ত হইয়াছে, তাহদের নামের একটা তালিকা আমার নিকট দাখিল করিও; আমি তাহদের মুক্তিদান করিব।—অন্য সকলে রোগের উপযুক্ত ঔষধ সেবন করুক।”- যে সকল লেখক ও গ্ৰন্থকার তাহাদের স্বাধীন রাজনীতিক বিশ্বাসের জন্য কারাগারে নিক্ষিপ্ত হইয়াছিলেন, কৈসার তঁহাদের প্রতি সুবিচারে অসম্মত হওয়ায় অধ্যাপক মোমলেন ‘একুসেলেনাসী’’ নামক মহা সন্মান