পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় Ry মনঃপুত না হইলেই সেজন্য এই নিরপরাধা সাম্রাজ্ঞীকে দায়ী করা श्रेष्ठ । কারণ, তিনি ইংরাজ-মহিলা । কিন্তু डेट्रेनिग्रांशष्क সাধারণ বিদ্যালয়ে ভৰ্ত্তি করিয়া দেওয়াতে র্তাহার জননীর কোন হাত ছিল না ; তঁহার পিতামহই এজন্য দায়ী । বিদ্যালয়ে কৈসার উইলিয়াম সাধারণ বালকগণের ন্যায় শাসিত হইতেন ; রাজপুত্ৰ বলিয়া যে তঁহার বিশেষ কোনও অধিকার ছিল, বা তঁহার কোনও অন্যায় আবদারে কৰ্ণপাত করা হইত, এরূপ নহে। এমন কি, তঁহাকে অত্যন্ত সাধারণ পরিচ্ছদ পরিধান করিতে হইত। তাহার বেশভূষা দেখিয়া কেহই বুঝিতে পারিত না যে, তিনি রাজপুত্ৰ, জৰ্ম্মান সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী। কৈসারের সতীর্থগণের অনেকেই এখনও জীবিত আছেন ; ক্যাসেলের ব্যায়ামশালায় তিনি অন্যান্য বালকগণের সহিত ব্যায়াম করিতেন । বিদ্যালয় হইতে তিনি সৈন্য-বিভাগে প্ৰবেশ করেন ; কিন্তু তঁাহার বাম হস্তখানি অকৰ্ম্মণ্য বলিয়া আশ্বারোহী সৈন্যদলে কাজ করিবার সময় তঁহাকে অনেক অসুবিধা ভোগ করিতে হইত। তবে তিনি অসাধারণ অধ্যবসায়শীল ও পরিশ্রমী ছিলেন বলিয়াই সেই সকল অসুবিধাতে নিরুৎসাহ বা কৰ্ত্তব্যবিমুখ হন নাই। তঁহার শিক্ষক ডাক্তার হিজপিটার লিখিয়া গিয়াছেন, তিনি সেনানীর কাৰ্য্যে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়াছিলেন। একখানি হস্ত অকৰ্ম্মণ্য হইলেও অশ্বারোহণে তঁহার অসামান্য নৈপুণ্য লক্ষিত হইত। সমর-বিভাগের সকল কাৰ্য্যেই তিনি অত্যন্ত অনুরাগ প্ৰকাশ করিতেন, এবং প্ৰতিদ্বন্দ্বিতীয় সহযোগী সেনানীগণকে পরাজিত করিবার চেষ্টা করিতেন । তিনি অত্যন্ত পরিশ্রমী ছিলেন ; এবং যে ভাবে তিনি তাহার সামরিক কৰ্ত্তব্য সম্পাদন করিতেন, যে কোন সাধারণ সৈনিকের পক্ষেও তাহ প্ৰশংসাৰ্ছ ছিল।