পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় d ዓ অধীর হইয়া উঠেন।-তখন কৈসার অহোরাত্রব্যাপী রাজকাৰ্য্য পরিত্যাগ পূর্বক, কয়েক দিনের ছুটী লইয়া তাহার খাস-মহালস্থিত “কোনও দুরবস্ত্ৰী পল্লীতে প্ৰবাস-যাত্রা করেন। মহিষী এইরূপ পল্পীবাসের একান্ত পক্ষপাতিনী ; ইহাকেই তিনি তঁহার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সুখ মনে করেন। নিভৃত পল্পীভবনে প্ৰেমময় পতির সহিত কিছু দিন একত্র বাস করিতে পাইলে তিনি আর কিছুই চাহেন না।-- কৈসার ও পল্লীগ্রামে উপস্থিত হইয়া, রাজকীয় আড়ম্বর ও বাদসাহী কায়দা পরিত্যাগপূর্বক সাধারণ ভদ্রলোকের মত দিনপাত করেন। সম্রাট হইলেও তিনি মানুষ, এ কথা বোধ হয় ভুলিতে পারেন না। তিনি ‘হ্যারিস টুইডে’র পোষাক পরিয়া, সবুজ বর্ণের সুচ্যগ্র টাইরোলিস হ্যাটি’ भाथ অ্যাটিয়া, কড়া তামাকু જૂર્ન ( full of coarse tobacco ) “পাইপ’ মুখে গুজিয়া গ্ৰাম্য-পথে ঘূরিয়া বেড়ান। পল্পীবাসীগণ প্ৰত্যুষে কাজে বাহির হইয়াই পথিপ্ৰান্তে সম্রাটকে দেখিতে পায়। সম্রাট তাহাদিগকে দেখিয়াই “নমস্কার, মহাশয়!’ বলিয়া অভিবাদন করেন ; তাহারাও গ্ৰীতিপ্ৰফুল্ল হৃদয়ে গভীর সন্মানভারে তঁহাকে প্ৰত্যভিবাদন করে ।-কৈসারের দাসানুদাসও “পাড়াগোয়ে’দের দেখিয়া অগ্ৰেই নমস্কার করা দূরের কথা, প্ৰত্যভিবাদন পৰ্য্যন্ত করে কি না। সন্দেহ। কিন্তু যিনি স্বীয় সুবিস্তীর্ণ সাম্রাজ্যমধ্যে সর্ব বিষয়ে শ্রেষ্ঠ, তিনি শিষ্টাচার প্রদর্শনে অন্যের অপেক্ষা হীন হইবেন কেন ?-কৈসার এই ভাবে ভ্ৰমণ করিতে করিতে পল্লীবাসীদের উপর, অজস্র প্রশ্নবাণ বর্ষণ করেন; কিন্তু তাহদের উত্তর তাহার কৰ্ণে প্রবেশ করিল কি না তাহা তাহারা বুঝিতে পারে না। র্তাহার কৃষিক্ষেত্র-জাত ফল মূল শাস্তাদি যাহাতে অত্যন্ত বৃহদাকার হয়,-সেজন্য তিনি চেষ্টা যন্ত্রের ক্রেটী করেন না। --কৃষিবিদ্যায় কৈসারের অনন্যসাধারণ অনুরাগ । ”