পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9 কোন পথে ? বলছি, যথার্থ কনস্টিটিউয়েণ্ট এসেমব্লি একমাত্র জাতীয় সরকার বা সাময়িক জাতীয় সরকারই তলব করতে পারে । একটি ব্যাপার আমরা বুঝতে পারছি না। যদি আমাদের নেতারা আন্দোলনে নামতে না চান, বড় বড় কথা উৰ্তারা বলে চলেছেন কেন ? তঁদের দিক থেকে অনেক বেশী সততা প্ৰকাশ পেত। যদি তঁরা মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্ব, যতই তা ভুল হােক, মেনে চলতেন। লম্বা লম্বা প্ৰস্তাব, বামপন্থার আমেজ আসে এইরকম গালভরা কথার তুবড়ি, শূন্যগর্ভ বাক্যজাল, মাঝে মাঝে মারমুখে আস্ফালন, নতুন এক জাগতিক ব্যবস্থার ঘন ঘন উল্লেখ্য, যে ব্যবস্থাকে লড়াই করে আনার দরকার নেই, যা আকাশ থেকে পড়বে।--বাইরে থেকে বিনা আঘাতেই সাম্রাজ্যবাদ তার নিজের ভারে আপনি ভেঙে পড়বেআমরা যাকে কোরেন্সকি-কৌশল বলে জানি এই সব তার সঙ্গে সুন্দর খাপ খায়-কিন্তু বাস্তব রাজনীতির যে দাবি এতে তা মেটানো যায় না । কংগ্রেস মন্ত্রিসভাগুলি পদত্যাগ করার পর পরই কংগ্রেস হাইকম্যাণ্ডের নিজস্ব মুখপত্র ঘোষণা করে, যুদ্ধের জন্য প্ৰস্তুত হবার সময় এসেছে। তারপর এই রকম অনেক সময়ই এল গেল। কিন্তু আজি পৰ্যন্ত কিছুই ঘটতে দেখা গেল না। সাংগঠনিক মুখপত্র যখন যুদ্ধের জন্য তোড়জোড় চালাচ্ছে তখন কোন কোন প্রদেশে “যুদ্ধ পরিষদ" গঠিত হয়েছে। আমাদের খবর এই যে, এই যুদ্ধপরিষদগুলি তাদের কমাণ্ডারদের নিয়ে এখন সুতো কাটতে ব্যস্ত । কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী আমাদের সুতো কাটতে হবে এবং সুতো কাটতে কাটতে আমাদের স্বরাজে পৌছতে হবে। আমাদের হাতে এরকম একটা অমোঘ অস্ত্র থাকতে কনস্টিটিউয়েণ্ট এসেমব্লি একেবারে অবাস্তর বলে মনে হয় । কিন্তু এইসব ছলচাতুরি, কথার কারচুপি কিল্পের জন্য ? কংগ্রেস হাইকম্যাণ্ডের সত্যা গ্রহের জেনারেলিসিমোর সত্যি-সত্যি কী হয়েছে ? স্বরাজে পৌছবার সোজা রাস্তাটা এড়াবার জন্য কেন তঁরা আকাশপাতাল তোলপাড় করছেন ?