পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जन्गूषं विन् 3oዔ পৃথক নির্বাচনমণ্ডলীতে তঁরা সম্মত আছেন জানিয়েছেন, যদিও তার পরিণাম কী তা তারা জানেন। তঁরা দাবি করেননি যে, পূর্বাহুে এইমত ঘোষণা করতে হবে যে, এসেমব্লিতে গৃহীত সব সিদ্ধান্ত ব্রিটিশ সরকার অতি অবশ্য কাৰ্যকর করবে। সুতরাং এসেমব্রি যদিও বা সর্বসম্মত কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছয়, তাহলেও ব্রিটিশ সরকারের বা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের পক্ষে তা পুনঃপরীক্ষা করা, সংশোধন করা বা অদলবদল করার পথ খোলা থাকবে- যেমন ছিল ভারত সম্পর্কে গোলটেবিল বৈঠকের ক্ষেত্রে । ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক এই দাবি মেনে নেওয়ার সম্ভাবনা যে ভালোমতই আছে, এরকম লক্ষণের অভাব নেই। তা থাকবেই বা না কেন ? এতে তাদের কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই, বরঞ্চ এ থেকে তাদের লাভই হবে। গ্রেটব্রিটেন থেকে যে দূতেরা সম্প্রতি ভারত সফরে এসেছিল তারা সংগ্রাম স্থগিত রাখার জন্য কংগ্রেস কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে গেছে । তারা এমন আশার কথাও বলেছে যে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ভারতের ব্যাপারটা নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে একটা মীমাংসায় আসার মত অবস্থা দেখা দেবে, এবং সংরক্ষণশীলদের মতও নাকি এই দিকে এখন ভিড়ছে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এই ধরনের প্রলোভন কোন জাতীয় নেতার মনে কোনই রেখাপাত করে না, কিন্তু ওয়ার্কিং কমিটির কথা আলাদা । তঁরা অনির্দিষ্টকালের জন্য যাতে সংগ্রাম স্থগিত রাখা যায়। সেইজন্য যে কোন অছিলা, যে কোন যুক্তি খুঁজে বার করার জন্য উদগ্রীব। ভবিষ্যতে গ্রেট ব্রিটেন থেকে খুব সম্ভব আরও দূতকে নিয়মিতভাবে ও ঘন ঘন আমরা আসতে দেখব। আরও একটি বাস্তব দিক ভেবে দেখার আছে, যা, আমাদের সামনে যে বিপদ রয়েছে সে সম্পর্কে আরও বেশি করে আমাদের চােখ খুলে দেবে। সংগ্রামে জয়লাভ করার পর জাতির র্যার নেতা তঁরা সর্বদা প্ৰচণ্ড প্রভাব ও মর্যাদা নিয়ে আবির্ভূত হন এবং সেই কারণে তঁরা জনগণকে চালিত করতে ও জনমত গঠন করতে সক্ষম হন । জনসাধারণেরও নেতাদের উপর আস্থা এত বৃদ্ধি পায় যে তা