পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পচন রোধ করা ১০ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৪০-এর “ফরওয়ার্ড ব্লক’এ স্বাক্ষরিত সম্পাদকীয় । ব্রিটিশ সরকার ও কংগ্রেস হাই কমাণ্ডের মধ্যে আপসের প্রচণ্ড চেষ্টা চলেছে এরকম একটা গুজব সর্বত্র শোনা যাচ্ছে। আমাদের প্ৰাক্তন মন্ত্রীদের সঙ্গে যারা ঘনিষ্ঠ এরকম মহল কংগ্রেস মন্ত্রীদের অবিলম্বে পুনরাগমন সম্পর্কে আশান্বিত এবং অত্যন্ত আগ্রহী। এই মুহূর্তে দুটাে ব্যাপার অনুমান করা হচ্ছে। কেউ কেউ মনে করছে রামগড় কংগ্ৰেসে আগেই নিম্পন্ন হয়ে গেছে এমন একটা ঘটনা পেশ করা হবে। আর সবার মতে রামগড় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি বা মহাত্মা গান্ধীর উপর সম্পূর্ণ ক্ষমতা ন্যস্ত করবে এবং আপিস কংগ্রেস অধিবেশনের পরে হবে, আগে হবে না । প্ৰথম অনুমানটা আমাদের কাছে সম্ভাব্য বলে বোধ হয় না । দ্বিতীয়টি সম্ভব কিনা যথাসময়ে দেখা যাবে। তবে একথা ঠিক যে মহাত্মা গান্ধী এবং ব্রিটিশ সরকার আপসের জন্য উদগ্ৰীৰ। গান্ধীজী লড়াই না করে স্বরাজ অর্জন করতে চান । পশ্চিম ফ্রন্টে বসন্তকালীন আক্রমণ শুরু হবার আগে সরকারও আপস চাইছে। এই লেখাটি লেখার সময় পৰ্যন্ত দেখা যাচ্ছে আপসের জন্য গান্ধীজীর যা নূনতম দাবি, ব্রিটিশ সরকার তাও মেনে নেৰে বলে মনে হয় না। আমরা শুধুমাত্র গান্ধীজির কথাই উল্লেখ করছি কারণ ওয়াকিং কমিটি তঁকেই অদ্বিতীয় ডিক্টেটর দাড় করিয়েছে। কংগ্রেস শেষ পৰ্যন্ত লড়াইয়ে নামবে না, ইংরেজ সরকারের এই • ধারণা। ইংরেজ সরকার এই কথাই ভাবছে এবং তার এই ধারণাই ভারতীয় দাবি মেনে নেবার জন্য বেশীদূর অগ্রসর হতে তাকে নিরস্ত করছে। ইওরোপীয় যুদ্ধজনিত নতুন পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়া সত্ত্বেও, প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম ও অত্যন্ত দেরিতে দাবি পূরণের বহু দিনকার অভ্যাস ইংরেজ সরকার কাটিয়ে উঠতে পারেনি। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, তারা যখন দাবি পূরণও করে, তা